
প্রকৃতির সাথে মিশে থাকতে এবং আমরা আমাদের মনের খোরাক মিটাতে ছাদে কিংবা বারান্দায় গাছ লাগিয়ে থাকি। অনেকেই শুধু গাছ লাগিয়েই মনে করে কাজ শেষ। কিন্তু গাছ লাগিয়ে নিতে হবে গাছের জন্য যত্নআত্তি। গাছকে ভালোবেসে অনেকেই আবার একসাথে বেশ অনেকটা পানি দিয়ে থাকে বা প্রতিদিন পানি দিয়ে থাকে। কিন্তু এতে ফলাফল বিপরীত দিকে চলে যায়। এতে গাছপালা সতেজ না হয়ে অন্যদিকে গাছপালার ডাল শুকিয়ে যেতে থাকে।
মূলত ইনডোর প্ল্যান্টের যত্ন নিতে হয় বেশি। ইনডোর প্ল্যান্ট নিতে গেলে অনেক বেশি সর্তক থাকতে হয়। ইনডোর প্ল্যান্টের জন্য বেশি পানি দেওয়া যাবে না আবার বেশি আলোতেও রাখা যাবে না। যেসব গাছ ছাদে রাখা হয় সেগুলোর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ঠিকমতো আছে কিনা সেদিকেও নজর দিতে হবে। আবার মৌসুমভেদেও গাছপালার যত্ন অন্যরকম হয়ে থাকে।
ইনডোর প্ল্যান্ট খুব স্পর্শকাতর হয়ে থাকে। বেশি পানি বা আলোতে রাখলে ইনডোর প্ল্যান্ট মরে যায়। তাই ইনডোর প্ল্যান্ট ভালোভাবে বাচাতে হলে পরিমিত পানি ও আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। সপ্তাহে তিনবার করে এসব গাছে পানি দেওয়া উচিত।
ঘরের মাঝে রাখার উপযোগী গাছগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পাতাবাহার। পাতাবাহারের বিভিন্ন ধরনের রয়েছে। যেমনঃ এরিকা পাম, মানি প্ল্যান্ট, স্নেক প্ল্যান্ট, মনস্টেরা, ড্রাসেনা, কলিয়াস, রাবার প্ল্যান্ট ইত্যাদি। কিছু কিছু ইনডোর প্ল্যান্ট থেকে ফুল হয়। যেমনঃ পিস লিলি, এনথুরিয়াম ইত্যাদি। ঘরে ক্যাকটাস ও শোভা বর্ধন করে। আবার অ্যালোভেরা গাছ ও ঘরে রাখা যেতে পারে। এটি একটি ওষধি গাছ।
জানালায় গ্রিল বা বারান্দায় অর্কিড রাখা যেতে পারে। আবার ছাদেও অর্কিড লাগানো যেতে পারে। ফার্ন জাতীয় গাছ পালা ঘরে ঝুলিয়ে রাখা যেতে পারে। শোবার ঘর বা বসার ঘরে গাছপালা লাগানো যেতে পারে। আবার অনেকেই বাথরুমেও গাছপালা লাগিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে স্পাইডার প্ল্যান্ট এবং আইভি লতা লাগাতে পারেন। কম অন্ধকারেও এসব গাছ বেঁচে থাকতে পারে।
গাছের প্রকৃতি উপর নির্ভর করে গাছের যত্ন নিতে হয়। গাছের যত্ন মানেই পানি ও সার দেওয়া। গাছের যত্ন নিতে গাছে পর্যাপ্ত পরিমানে পানি দিতে হবে।