এক দিনে কত কাপ কফি খাওয়া স্বাস্থ্যকর?
দিনে সর্বোচ্চ কয় কাপ কফি খাবেন

সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেকেরই চা বা কফি ছাড়া ঘুম ভাঙ্গে না। এই কফির স্বাদে সারা পৃথিবী মোহিত হয়ে থাকে। কফি তার নিজস্ব স্বাদে অতুলনীয়। পাশাপাশি কফি খেলে হার্টের রোগ থাকে না, অবসাদ কমে যায়, ওজন কমে যায় এবং মন চাঙ্গা থাকে। ফলে কফি বর্তমানে সবার ভিতর জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
কফি খুব জনপ্রিয় হলেও কফি খুব বেশি খাওয়া ভালো না। কিন্তু এই বিষয়টি অনেকেই হয়তো জানে না। তাই অনেকেই দিনে অনেক কাপ কফি খেয়ে ফেলে। মূলত কফিতে ক্যাফেইন নামক একটি উপাদান থাকে। এই উপাদানটি শরীরে একটি নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত গ্রহণ করা ভালো। তাই খুব বেশি পরিমাণে কফি খেলে সমস্যা হতে পারে। মাত্রারিক্ত কফি পান দেহের জন্য নানা বিপদ ডেকে আনতে পারে।
সন্ধ্যার পরে যেসব খাবার খাওয়া ঠিক নয়
শরীরের ক্লান্তি দূর করে যেসব খাবার
মাত্রারিক্ত কফি পান কি কি ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে চলুন দেখা যাক-
১। মাত্রারিক্ত পরিমাণে কফি পান করলে রক্তে ক্যাফিনের মাত্রা বেশি হয়ে থাকে। ফলে ক্যাফিনের প্রতি আসক্তি দেখা দেয়। অন্যান্য নেশা জাতীয় দ্রব্যের মতো কফিও নেশা তৈরী করে থাকে। ফলে কিছুসময় পরপর কফি না পেলে মেজাজ গরম হতে থাকে।
২। যারা মাত্রারিক্ত কফি পান করে তাদের খুব কম পরিমাণে ঘুম হয়। ফলে মস্তিষ্কের কাজ ব্যাহত হয়ে থাকে।
৩। রক্তে যদি মাত্রারিক্ত ক্যাফিন হয়ে যায় তাহলে সেটি হৃদযন্ত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে হৃদযন্ত্রের কাজ ব্যাহত হয়ে থাকে। রক্তচাপ বদলে যেতে পারে।
যেসব ভিটামিনের অভাবে শরীর ক্লান্ত লাগে
শরীরের ব্যথা দূর করে যেসব খাবার
এখন আসি তাহলে দিনে কয় কাপ কফি খাওয়া যাবে?
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এক দিনে সর্বোচ্চ চার কাপ কফি খাওয়া যেতে পারে। আসলে তার বেশি কফি খাওয়া উচিত নয়। তবে কোন কোন দিন ব্যতিক্রম হতে পারে। তখন দিনে সর্বোচ্চ পাঁচ কাপ কফি খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু এর বেশি কফি খাওয়া কখনোই উচিত নয়। চার কাপ কফি খেলে হৃদযন্ত্রে কোন আশঙ্কা থাকবে না এবং ঘুমের ও কোন সমস্যা হবে না।
আরো পড়ুনঃ প্রেসার কুকারে রান্না করার সময় সতর্কতা এবং যেসব খাবার প্রেসার কুকারে রান্না করা উচিত নয়
One Comment