
করোনা সেরে যাওয়ার পরেও অনেকের মাঝে অনেক ধরনের জটিলতা দেখা দিতে থাকে। তবে একেক জনের মাঝে একেক ধরনের জটিলতা দেখা যায়। করোনা থেকে পুরোপুরি সেরে উঠার জন্য বেশ অনেকটা সময় লাগছে। আবার সেরে ওঠার পরেও এসব জটিলতা দেখা দিচ্ছে।
করোনা কারো কারো হার্ট, লাংস, ফুসফুস এসব অঙ্গে সমস্যা সৃষ্টি করে যাচ্ছে। পাশাপাশি কারো চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যাচ্ছে আবার কারো খুব বেশি মাত্রায় চুল পড়ে যাচ্ছে।
এই চুল পড়া নিয়ে বিশেষজ্ঞরা নানা মতামত দিয়েছেন। তবে তাদের মতে, বড় ধরনের কোন অসুখের পরে চুল পড়াটা কোন অস্বাভাবিক বিষয় নয়।
ক্ষতিকর একটা ভাইরাসের সাথে মোকাবিলা করছে আমাদের শরীর। ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা দেখা দিতেই পারে। শরীরে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পরিবর্তন দেখা দিচ্ছে। ফলে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠার পরেও চুল ঝরতে থাকে অনেক বেশি।
তবে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠার পরে চুল পড়া কোন দুশ্চিন্তার কারণ নয়। এটি কয়েক মাস পর এমনিতেই কমে যায়। তখন আবার আগের মতোই চুল বাড়তে থাকে।
করোনার পরে এই চুল পড়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। মূলত করোনার সময় শরীরের উপর অনেক চাপ পড়ে। আবার এসময় মানসিক চাপ ও চুল পড়ার অন্যতম কারণ। এসময় মোটামুটি একশত থেকে দুইশত চুল পড়তে পারে।
এই চুল পড়ার সমস্যা ঠিক হতে তিন থেকে ছয় মাস সময় লেগে যেতে পারে। তাই অনেকেই অনেক বেশি চিন্তিত হয়ে পড়ছে। তবে এই অবস্থা ঠিক হয়ে গেলে আবার নতুন চুল ফিরে আসে। অর্থাৎ নতুনভাবে চুল গজায়।

চুল পড়ার কারণ গুলোর মধ্যে আছে অপর্যাপ্ত ঘুম, সঠিক খাবারের অভাব, যোগব্যায়ামের অভাব, শরী্রচর্চার অভাব, মেডিটেশনের অভাব ইত্যাদি। করোনা থেকে সেরে উঠার কয়েক সপ্তাহের মাঝে ঠিক হয়ে উঠলে বুঝা যাবে শরীর নিজ থেকেই ভারসাম্যতা ফিরে পেয়েছে।
গ্রোথ ফেস থেকে রেস্টিং এবং এরপর শেডিং পর্যন্ত চুলের একটি সাইকেল। ভাইরাসের কারণে জ্বর হলে বা অন্য কোন কারণে জ্বর হলে শরীরে যে প্রদাহ হয় তার ফলে চুল শেডিং ফেসে যেতে বাধ্য হয়। একে টেলোজেন ইফ্লুভিয়াম বলে।
চুল পূর্বেই অবস্থায় ফিরে আসতে কিছুটা কষ্ট করতে হয়ে। তখন কিছু হেয়ার সাপ্লিমেন্ট নিতে হয় আবার পেপটাইড বেসড সিরাম ব্যবহার করতে হয়। তাহলে চুল খুব দ্রুত গজায়। করোনার ফলে শরীরে অপুষ্টি দেখা দেয়। তাই তখন কিছু পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে।
আরো কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যেমন-
১। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে।
২। চুল পরিষ্কার করার জন্য মাইল্ড কোন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।
৩। শরীরকে ভিতর থেকে আর্দ্র রাখতে হবে। ফলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
৪। চুলে যদি খুব বেশি খুশকি থাকে তাহলে তা দূর করতে হবে।
৫। চুলে তেল ব্যবহার করা কিছুদিনের জন্য বন্ধ রাখতে হবে।
৬। নিয়মিত প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য যেমন- চিয়া সীড, আমন্ড, আখরোট, চিনাবাদাম ও সবুজ শাকসবজি খেতে হবে।
৭। যদি এসবেও কোন কাজ না হয় তাহলে ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
একটি সবজি যা টিকার বিকল্প হিসাবে কাজ করবে
One Comment