
কলা দিয়ে রূপচর্চা করার ইতিহাস সেই প্রাচীন কাল হতেই চলে আসছে। কলা খাওয়া শরীরের জন্য খুব ভালো আবার কলা আমাদের ত্বকের জন্যেও খুব উপকারী একটি উপাদান। ত্বকের যত্নে কিভাবে কলার ব্যবহার করা হয় সেই নিয়ে আজ থাকছে কিছু কথা।
কলাতে থাকা পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। কলাতে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ও ভিটামিন ই পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে। এগুলো শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রূপে কাজ করে। এসব উপাদান আমাদের ত্বকের মৃত কোষ খসিয়ে দেয়। এসব উপাদান রোমকূপের মুখ খুলে দেয়, ত্বক টানটান রাখতে সাহায্য করে ও ত্বক্ব নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করে।
কলা তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যার জন্য খুব ভালো কাজ করে। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা ও কোমলতা বৃদ্ধি করে। কলা আমাদের ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। কলাতে পটাশিয়াম নামক উপাদান থাকে যা ত্বক আর্দ্র করে। একটি কলার অর্ধেক ভালো মতো চটকে মাস্ক হিসাবে ব্যবহার করলে ত্বক নরম ও কোমল হবে। কলার পাশাপাশি মধুও ব্যবহার করা যেতে পারে।
ব্রণ দূর করতে-
কলার খোসাতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। এটি আমাদের ত্বকের জন্য খুব ভালো কাজ করে। ব্রণের জায়গাতে কলার খোসার বাদামি অংশ সাদা হয়ে যাওয়া পর্যন্ত ঘষতে হবে। তাহলে মুখের দাগ ও ব্রণ দূর হয়ে যাবে। এটি সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যবহার করা যেতে পারে।
তৈলাক্ততা দূর করতে-
কলা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য একটি কার্যকরী উপাদান। প্রতিদিন রূপচর্চা করতে হলে কলা দিয়ে তৈরীকৃত প্যাকের কোন বিকল্প নেই। কলা, মধু ও লেবুর রস দিয়ে মুখের প্যাক তৈরী করলে সেটি আমাদের ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করে। পাশাপাশি ত্বক কোমল ও রাখে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে-
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে কলা খুব ভালো কাজ করে। এক চা চামচ কমলার রস, অর্ধেক কলা ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে ভালো ভাবে চটকে নিতে হবে। তারপর এই প্যাকটি মুখে ও ঘাড়ে ব্যবহার করতে হবে। ১৫-২০ মিনিট পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। তাহলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
আরো পড়ুনঃ
One Comment