
কোলনের প্রদাহ হলে যে রোগ হয় তাকে কোলাইটিস বলে। রেকটাম এবং কোলনের মিউকাস পর্দাথতেই যে শুধু এরকম ঘা ও প্রদাহ হয় তাই নয় অবস্থা গুরুতর হলে সমস্ত বৃহদন্ত্রের মিউকাস পর্দার বিভিন্ন স্থানে এরকম প্রদাহ, ক্ষত ও রক্তপাত হতে পারে।কোলাইটিস হলে খুব ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হয় ও মলের সাথে রক্ত পড়ে। এমনকি দিনের মধ্যে ১৫-২০ বার পর্যন্ত এরকম মিউকাস ও রক্তযুক্ত পায়খানা হতে পারে। এসময় রোগীর পেট কামড়ায় ও পেটে খুব অস্বস্তি অনুভূত হয়। কোলাইটিস হলে রোগী খুব দূর্বল, ক্ষীণ ও পুষ্টিহীন হয়ে পড়ে এবং মলের সাথে বেশী রক্ত গেলে এনিমিয়া হতে পারে।
এ অবস্থায় যে খাদ্যের ব্যবস্থা করতে হয় তা অনেকটা পুরোন উদরাময়ের মতোই। পুষ্টিহীনতা ঘুচাবার জন্য প্রচুর প্রোটিন ও ক্যালরির ব্যবস্থা আহারে থাকতে হবে। অন্ত্রে যেন কোন প্রকার অস্বস্তি বা উত্তেজনা না ঘটে সেজন্য একেবারে আশহীন ও খুব কম অবশেষ থাকে এমন খাবার নরম অথবা তরলীকৃতভাবে রোগীকে দিতে হবে। এনিমিয়া থাকলে লোহা ও ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে দিতে হবে। এসময় দূর্বলতার কারণে, রোগীর মেজাজ খিটখিটে থাকে, পেট ব্যথার ভয়ে খাদ্যে অনিহা থাকে, সুতরাং রোগীকে আশ্বস্ত করার মতো খাদ্য নির্বাচন করে আকর্ষণীয়ভাবে পরিবেশন করার প্রয়োজনীয়তা এসময় খুব বেশী।
যেসকল খাদ্য বর্জন করতে হবেঃ
আস্ত ফল
সব রকম ডাল
শাকসবজি বিশেষ করে শশা, বাধাকপি, পিয়াজ, শালগম,মটরশুটি ইত্যাদি।
যেসকল খাদ্য খেতে পারবেঃ
ফলের রস
জেলি, মধু, চিনি, মাখন তোলা দুধ্
আলু
নরম ভাত
মাছ,মুরগির মাংস
আরো পড়ুনঃ
কিডনি এবং পাকস্থলী সুস্থ রাখার উপায়
গ্যাস্ট্রিক বা গ্যাসট্রাইটিস রোগের উপশম
আর্থ্রাইটিসে ভুগছেন? জেনে নিন সমাধান
One Comment