
বর্তমানে অনেক বেশি গরম পড়তে শুরু করেছে। এই গরমে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত। গরমের সময়ে যেকোণ শারীরিক সমস্যার প্রধান কারণ হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার অভাব। তাই এই গরমের পানি পিপাসা না পেলেও পানি পান করুন।
শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য নিয়মিত ঠান্ডা পানিতে গা ধোয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এই গরমের সময়ে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখা একটা চ্যালেঞ্জ। তাই গরমের সময়ে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে গোসল করে নেওয়া উচিত। তাহলে শরীর ঠান্ডা হবে। পানি শূন্যতার লক্ষণ ও প্রতিরোধ
গরমের সময়ে বেশি বাইরে দিয়ে ঘোরাফেরা করলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অনেকেই আবার হাসপাতালেও ভর্তি করতে হচ্ছে। এসব অসুস্থতা সাধারণত ঘটে থাকে হিট স্ট্রোকের কারণে। যখন শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় তাওখন হিট স্ট্রোক হতে পারে।
বাইরের তাপমাত্রার সাথে শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্যতা বজায় রাখে মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস। বাইরের তাপমাত্রা বেশি বেড়ে গেলে বা কমে গেলে শরীরের তাপমাত্রার সাথে ভারসাম্যতা হারিয়ে ফেলে। তখন হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা থাকে। হিট স্ট্রোকের উপসর্গ মাঝে মাঝে আগে থেকেই বুঝতে পারা যায়। তাখন সাথে সাথেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। গরমে পেটের সমস্যা থেকে কিভাবে মুক্তি পাবে?
এই রোদের সবাই কম বেশি বাইরে বের হচ্ছে। রোদে বাইরে গেলে সানবার্ন বা রোদে ত্বক পুড়ে যেতে পারে। তখন ত্বক লাল হয়ে যায়। ত্বকে ফুসকুড়ি হতে পারে। সানবার্ন হলে রোদে পোড়া জায়গাটিতে চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত কিছু লাগানো উচিত নয়। ফুসকুড়ি হলে তা ফাটানো উচিত নয়। সানবার্ন হলে কড়া রোদে যাওয়া যাবে না। ঠান্ডা পানিতে ভেজানো কাপড় দিয়ে ত্বক মুছতে হবে। এরপর ও যদি না কমে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। গরমে শরীর ঠান্ডা করা সবজি
গরমের সময়ে ত্বক পুড়ে লাল হয়ে যেতে পারে। ফলে র্যাশ বের হতে পারে। এই র্যাশকে হিট র্যাশ বলা হয়। এগুলো হলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হয়। রোদ এড়িয়ে ঠান্ডা জায়গায় থাকলে রোদে সব ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। মিষ্টি ও পাকা তরমুজ চেনার উপায়
শরীরে যদি পানির অভাব হয় বা খনিজ পদার্থ যদি শরীর থেকে প্রচুর বেরিয়ে আসে তাহলে পেশীতে টান ধরে। আবার পেটে ব্যথা হতে পারে। একে হিট ক্র্যাম্পস বলা হয়। এই ধরনের রোগ থেকে বাচতে হলে বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হবে। লবণ,চিনি ও পানির মিশ্রণ বা খাবার স্যালাইন খেতে হবে। ঠান্ডা জায়গায় থাকতে হবে। এমন পানীয় যা আমাদের মেদ ঝরাতে সাহায্য করে
শরীরে যদি অতিরিক্ত ঘাম হতে থাকে তাহলে নাড়ির গতি দূর্বল হয়ে যায়। গা গোলাতে থাকে, দূর্বলতা দেখা দেয়, বমি হতে পারে এবং মাথা ব্যথা হতে পারে। একে হিট এগজরশন বলা হয়। এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে পোশাক ঢিলা করে দিতে হবে। ঘাড় ও গলা ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে দিতে হবে। প্রচুর পানি পান করাতে হবে। রোদ থেকে ছায়ায় সরিয়ে আনতে হবে। বেশি খারাপ পরিস্থিতি হলে দ্রুত চিকিসকের কাছে নিতে হবে। গরমে পোশাক নির্বাচনে যেসব মাথায় রাখতে হবে
হিট স্ট্রোক হলে শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য থাকে না। ফলে ঘাম হয় না। হিট স্ট্রোক করলে মস্তিষ্ক, হৃদযন্ত্র ও কিডনিতে প্রভাব পড়ে। রোগী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। ভুল্ভাল কথা বলতে থাকে। ঘাম না হওয়াতে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে ১০৩-১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট হয়ে যায়। মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরার মতো লক্ষণ দেখা দেয়। এমতাবস্থায় দ্রুত রোগীকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। ঠান্ডা বা ভেজা কাপড় দিয়ে গা মুছিয়ে দিতে হবে। হৃদরোগ থেকে বাচতে মাংসের এসব পদ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
গরমের এসব সমস্যা থেকে বাচতে হলে ঠান্ডা পানীয় খাওয়াতে হবে। রাস্তায় যেকোন ধরনের কাটা ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। পানীয় বা ফলে জীবাণূ থাকতে পারে। ফলে ডায়রিয়া ও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ গরমে আরামদায়ক পোশাক কোনটি?