গরমে পেটের সমস্যা থেকে কিভাবে মুক্তি পাবে?
পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন কিভাবে

বাঙালির উতসব হোক আর না হোক, যেকোন সময়েই খাওয়া দাওয়া তুমুল হারে চলতেই থাকে। বাঙালি খেতে খুব বেশি পছন্দ করে। আবার বাঙালি পেটরোগা ও। বাঙালিদের গ্যাস অম্বলের সমস্যা এখন প্রায় ঘরে ঘরে। গরমের সময়ে পেটের সমস্যা আরো বেশি বৃদ্ধি পায়।
বাঙালির কিছু থেকে কিছু হলেই ওষুধ খাওয়ার বাতিক রয়েছে খুব বেশি। কিন্তু ঘন ঘন গ্যাস অম্বলের ওষুধ খাওয়া মোটেও ঠিক না। এ থেকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বড় কোন অসুখ ডেকে আনতে পারে। তাই আমাদেরকে স্বাভাবিক নিয়মেই হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের সবসময় হজম উপযোগী খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করতে হবে। আমাদেরকে সবসময় স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলতে হবে। পাশাপাশি কিছু প্রাকৃতিক কৌশল অবলম্বন করতে হবে।
কিভাবে খুব সহজেই গ্যাস অম্বল দূর করা যায়?
১। খাবার সময় খাবারের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। অনেকেই খাবার খেতে খেতে টিভি দেখে বা মোবাইল দেখে। কিন্তু খাবার খাওয়ার সময় এসব কাজ করা যাবে না। এগুলো খাওয়ার প্রতি মনোযোগ কমিয়ে দেয়। ফলে হজমের সমস্যা হয়ে থাকে। তাই খাওয়ার সময় অন্যদিকে নজর দেওয়া উচিত নয়। খাবার উপভোগ করা উচিত।
২। কর্মব্যস্ততার জন্য অনেকেই আরাম করে খাবার খাওয়ার কথা ভুলেই যাচ্ছি। সকালে তাড়াহুড়া করে অফিসে বের হয়ে যাওয়া, দুপুরে কাজের চাপ এবং রাতে দ্রুত খাবার শেষ করার তাড়াই তাড়াহুড়া করে খাবার খাওয়ার অভ্যাসটা খুব বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে পেটে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। খাবার ভালো করে চিবিয়ে খেলে এতে নানা ধরনের উতসেচক যোগ হয়। ফলে খাবার সহজপাচ্য হয়ে যায়। তাই খাবার ভালো করে চিবিয়ে খেতে হবে। তাহলে পেট ভালো থাকবে।
৩। খাবার খাওয়ার সময় অতিরিক্ত মাত্রায় পানি খাওয়া উচিত নয়। অনেকে খাবার খাওয়ার সময়ে প্রচুর পানি খেয়ে ফেলেন। ফলে পেটের সমস্যা দেখা দেয়। গ্যাসের সমস্যা হয়ে থাকে। খাওয়ার সময় অতিরিক্ত পানি খেলে হজমে সাহায্যকারী উতসেচকগুলো তাদের কার্যকারীতা হারিয়ে ফেলে। ফলে খাবার ভালো মতো হজম হয় না। গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়। তাই খাবার খাওয়ার সময় অল্প পানি খাওয়া উচিত।
৪। প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া উচিত নয়। আবার একই সাথে খাওয়া যায় এমন খাবার খাওয়া ও উচিত নয়। যেমনঃ মাংস খেয়েই দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া উচিত নয়। ভাতের পরেই ফল, ভাজাভুজি খেয়ে পানি খাওয়া একদমই উচিত নয়। এসব খাবার একসাথে পর পর না খেয়ে একটু সময় বাদে খাওয়া উচিত। এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। প্রক্রিয়াজাত খাবারে অনেক ধরনের রাসায়নিক উপাদান থাকে। এগুলো হজমে খুব অসুবিধা করে। পাশাপাশি পরিপাকতন্ত্রের কার্যকারীতা হারিয়ে ফেলে।
৫। গরমের এই সময়ে যেন পানির ঘাটতি দেখা না দেয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। পানি শূন্যতা যেন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। শরীরে পানির ঘাটতি হলে হজমে সমস্যা দেখা দেয় তাই পানির ঘাটতি পূরণ করতে হবে। সারাদিনে দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করতে হবে। ডিটক্স ওয়াটার রাখতে হবে খাদ্যতালিকায়।
আরো পড়ুনঃ গরমে শরীর ঠান্ডা করা সবজি
I’m not that much of a internet reader to be honest but your blogs
really nice, keep it up! I’ll go ahead and bookmark your website to come back
later. All the best