
গর্ভাবস্থায় বর্ধিত পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও ভ্রূণের সুস্থ বর্ধন ও বিকাশের জন্য একজন গর্ভবতী মাকে প্রায় সব ধরনের খাদ্যই একটু বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত। খাদ্যের মৌলিক গোষ্টির প্রত্যেক বিভাগ হতে খাদ্য নির্বাচন করে, আহার পাচমিশালি করে খাওয়া হলে, দেহের বেশির ভাগ পুষ্টি চাহিদাই পূরণ হয়। খাদ্য গ্রহণে যে সকল বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে সেগুলো হচ্ছে-
১। বাড়তি ক্যালরির চাহিদা পূরণের জন্য দৈহিক অতিরিক্ত ৫০ গ্রাম খাদ্যশস্য(ভাত\রুটি) এবং ৫ গ্রাম তেল যথেষ্ট। তবে ক্যালরির চাহিদা ক্রমে এই নিয়মে বৃদ্ধি পায়। প্রথম ৩ মাসে প্রতিদিন ১০ কিলোক্যালরি ,দ্বিতীয় ৩ মাসে প্রতিদিন ৯০ কিলোক্যালরি এবং শেষ ৩ মাসে প্রতিদিন ২০০ কিলোক্যালরি। তাই খাদ্যের পরিমাণও সেই অনুযায়ী বাড়ানো উচিত। গর্ভকালীন ৯ মাসে মায়ের প্রকৃত ওজন হতে ১০-১১ কেজি বেশি ওজন বৃদ্ধি পাওয়া স্বাভাবিক। এই বৃদ্ধির ক্রম হচ্ছে-প্রথম ৩ মাসে প্রতি মাসে ১-২ কেজি ও বাকি ৬ মাসে প্রতি সপ্তাহে ১\২ কেজি করে। ওজন বৃদ্ধি বেশি হলে ক্যালরি নিয়ন্ত্রণ করা ও ডাক্তারের পরার্মশ নেওয়া উচিত।

২। ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের জন্য ১ গ্লাস দুধ (৮ আউন্স) অথবা ৫০ গ্রাম ছোট মাছ, ২০০ গ্রাম সবুজ শাকপাতা, ভিটামিন”এ” এর জন্য রঙ্গিন শাকসবজি, কলিজা, “ডি” এর জন্য কড মাছের যকৃতের তেল, তৈলাক্ত মাছ খাওয়া যায়।
৩।উচ্চ জৈব মূল্যের প্রোটিনের জন্য ডিম, মাছ, মাংস; লৌহের ও ফলিক এসিডের জন্য কলিজা, সবুজ শাক,টমেটো; ভিটামিন “সি” এর জন্য আমলকি,পেয়ারা,লেবু ইত্যাদি খাওয়া যায়।
৪। কোষ্ঠবদ্ধতা ও অর্জীণতার প্রতিরধের জন্য শাক সবজি প্রচুর পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে। গর্ভবতী মায়ের নিজের দেহে ও জরায়ুতে রসের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। সেজন্য প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিত।
গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত পুষ্টি চাহিদা পূরণের জন্য ৫০ গ্রাম চিনাবাদাম, ৩০ গ্রাম গুড়, ১\২ কাপ রান্না করা শাক, অন্যান্য সবজি,বীচি, পাকা কলা অথবা অন্যান্য মৌসুমি ফল এবং সপ্তাহে ৩-৪ টি ডিম খেলে উপকার পাওয়া যায়। মনে রাখতে হবে আহারে যত বেশি ধরনের খাদ্য বস্তু থাকবে, আহার তত বেশি সুষম ও পুষ্টিকর হবে।
আরো পড়ুনঃ
মিষ্টি কুমড়া কেন খাবেন জেনে নিন
মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির উপায় ও দুধ বৃদ্ধির জন্য খাদ্য
One Comment