
জীবিকার প্রয়োজনে বর্তমানে নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলকেই বাইরে যেতে হয়। মেয়েরাও এখন ছেলেদের পাশাপাশি ঘরের বাইরে কাজ করে। ফলে ঘরে খুব একটা সময় দিতে পারে না। তাই অল্প সময়ে কিভাবে ঘর গুছিয়ে পরিপাটি রাখা যায় সে বিষয়ে একটি ধারণা দেওয়া হলো-
আমরা যতই বাইরে ঘুরতে পছন্দ করি, বাইরে সময় কাটাতে পছন্দ করি না কেন দিন শেষে আমাদের প্রত্যেকেরই নিজের ঘরে ফিরতে হবেই। আমাদের সবার কাছে প্রশান্তির একটা জায়গা হচ্ছে নিজের ঘর। পৃথিবীতে নিজের ঘর থেকে পছন্দের আর কোন জায়গা নেই।
আমরা প্রত্যেকেই চাই আমরা যখন ঘরে ফিরে আসবো তখন যেন আমরা আমাদের ঘরটিকে সুন্দর করে পরিপাটি অবস্থায় সাজানো গোজানো দেখতে পায়। যাতে আমাদের মন আনন্দে ভরে উঠতে পারে।
চলুন দেখে নিই নিজের ঘরকে কিভাবে সুন্দর ও পরিপাটি করে সাজিয়ে গুজিয়ে রাখা যায়-
১। প্রথমে নজর দিতে হবে ঘরের কোন অংশটি সবচেয়ে বেশি অপরিষ্কার।
২। যদি বেডরুম সবচেয়ে বেশি অপরিষ্কার থাকে তাহলে প্রথমেই বেডরুম গুছিয়ে নিতে হবে। সবসময় ঘুম থেকে উঠেই নিজের বিছানা ও বেডরুম গুছিয়ে নেওয়া উচিত। তাহলে সম্পূর্ণ ঘরটিই দেখতে সুন্দর লাগবে।
৩। ঘরের ময়লা কাপড় গুলো সবসময় ঘরের কোণে একটি ঝুড়িতে রাখতে হবে। সেই ঝুড়ি থেকে কাপড় গুলো নিয়ে ধুয়ে দিতে হবে। তাহলে ময়লা কাপড় ঘরের মাঝে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে না।
৪। জুতার বাক্সের জুতাগুলো সবসময় গুছিয়ে রাখতে হবে যেন তাড়াহুড়ার সময়ে জুতা খুজে পাই খুব সহজেই।
৫। ডাইনিং টেবিল শুধুমাত্র খাওয়ার কাজেই ব্যবহার করতে হবে। ডাইনিং টেবিলের উপর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলো গুছিয়ে রাখতে হবে। যাতে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো হাতের নাগালেই পাওয়া যায় এবং জিনিসগুলো যাতে এলোমেলো না হয়ে যায়।
৬। ড্রয়িং রুমের ছোটখাটো জিনিসপত্র গুলো গুছিয়ে রাখতে হবে। ড্রয়িং রুমে পারলে কিছু ছোটখাটো গাছ রাখা যেতে পারে যাতে ড্রয়িং রুমে সবুজের ছোয়া থাকে।
৭। বাথরুমের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো তাক বানিয়ে তাকে রাখতে হবে যাতে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো হাতের নাগালের মাঝেই পাই।
৮। বারান্দায় গাছ থাকলে গাছে পানি দেওয়ার সাথে সাথে বারান্দা মুছে ফেলতে হবে। যাতে বারান্দা কাদা কাদা না হয়ে যায়।
৯। বারান্দায় শুকাতে দেওয়া কাপড় গুলো বিকালের মাঝে ঘরে এনে রাখতে হবে। সম্ভব না হলে রাতে বাসায় এসে ঘরে এনে রাখতে হবে। কাপড় গুলো ভাজ করে রাখার সময় না পেলে বাস্কেটে রেখে দিতে হবে। সময় পেলে ভাজ করে গুছিয়ে রাখতে হবে। যাতে সকালে উঠে বারান্দায় গেলে বিরক্ত না এসে যায়।
১০। ঘরের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য কিছু কিছু ছোট গাছ এনে রাখা যেতে পারে। খাবার টেবিলের কোণায় বা ড্রয়িং রুমে গাছ লাগানো যেতে পারে। তাহলে ঘরে একটি প্রাকৃতিক পরিবেশ তৈরী হবে। ঘরটিও দেখতে সুন্দর দেখাবে।
১১। দেয়ালের রঙয়ের সাথে মিলিয়ে সবসময় পর্দা কিনতে হবে। তাহলে পর্দা দেখেও চোখের শান্তি আসবে।
১২। ঘরের পরিবেশ আরো বেশি মনোমুগ্ধকর করে গড়ে তুলতে হলে ঘরে একটি সুন্দর ঘ্রাণযুক্ত এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করা যেতে পারে। তাহলে বাইরে থেকে ঘরে ফিরে নিজেকে রিফ্রেশ লাগবে।
আরো পড়ুনঃ