
নতুন বছরে আমাদের প্রত্যেকেরই একটা নতুন শপথ থাকে। নতুন বছরে নতুন কোন ভালো খাদ্যাভ্যাসে জড়িয়ে পড়ার শপথ থাকে অনেকেরই। তাই বছরের শুরু থেকেই লেগে পড়তে হবে। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে হবে। এটার কোন বিকল্প থাকতে পারে না। নতুন বছরে নতুন খাদ্যাভ্যাস আমাদের জীবনে ভালো কোন পরিবর্তন আনতে পারে। কিছু সহজ নিয়মের মাধ্যমে জীবন হয়ে উঠতে পারে সুন্দর। এই পাচটি খাদ্যাভ্যাসে জীবন হয়ে উঠতে পারে আরো স্বাস্থ্যকর।
১। এক ভাগ শর্করা, এক ভাগ প্রোটিন, দুই ভাগ শাক সবজি –

সারা বিশ্বে “লো- কার্ব ” ও ” ডিটক্সিন” ডায়েট অনে বেশি জনপ্রিয়। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে যে, এই দুই ডায়েটের কোনটাই তেমন বেশি কার্যকরী নয়। এগুলো কিছু সময়ের জন্য কাজে দিলেও এগুলো কোন টেকসই পদ্ধতি নয়। আপনার ডায়েটে এমন কোন খাবার রাখা যাবে না যেটা দেখলেই আপনি ঝাপিয়ে পড়বেন বা আপনার জিভে জল চলে আসে। এসব খাদ্যের বদলে কিছু টাটকা খাবার খান। দিন তিনবেলা খেতে হবে। প্রতি বেলার খাবারকে চার ভাগে ভাগ করতে হবে। এক ভাগে প্রোটিন, এক ভাগে শর্করা ও বাকি দুই ভাগে শাক সবজি রাখুন।
২। খাবারের প্লেট রঙ্গিন হতে হবে-

আশযুক্ত খাদ্য বেশি খেতে হবে। ফল ও সবজির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। একেক দিন একেক রঙয়ের ফল ও সবজি খেতে হবে। খাবারের প্লেটে যেন নানা ধরনের সবজি ও নানা ধরনের সালাদ থাকে।
৩। অল্প সময়ে যেন পরিবর্তন না চায়-
হঠাত করে খাবারে পরিবর্তন আনা মোটেও ঠিক নয়। অল্প সময়ের মাঝেই বেশি পরিবর্তন আনতে চাওয়া ঠিক নয়। এই অভ্যাস শরীরের মেটাবলিজমের উপর যুদ্ধ ঘোষণা করে থাকে। ফলে শরীরের স্বাভাবিক মেটাবলজিম ভেঙ্গে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে। অন্তত এক বছর সময় নিতে কাজটি করতে হবে। এই কাজটি একবার শুরু করলে নিয়ম মেনে শেষ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
৪। একেক মৌসুমে একেক খাবার-

একেক মৌসুমে একেক ধরনের খাবার গ্রহণ করা উচিত। গরমে বেশি করে মিল্ক শেক, স্মুদি, জুস ও বিভিন্ন সালাদ খেতে হবে। শীতে বিভিন্ন ধরনের স্যুপ খেতে হবে।
৫। হাটাহাটি করা-

এই অভ্যাসটি খাদ্যাভ্যাসের সাথে জড়িত না। তবে দৈনিক অন্তত আধা ঘণ্টা হাটাচলা করতে হবে। তাহলে রক্তে শর্করার মাত্রা ও লেপটিন হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাহলে প্রয়োজনের অধিক খিদে পায় না। তাহলে পেশি ভালো থাকে, হরমোন গুলো নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
আরো পড়ুনঃ