সুখী সম্পর্ক পেতে যা করতে হবে

একই সাথে দুইটি মানুষ থাকলে কখনো কখনো ঝগড়া হবে এটা খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয়। যেকোন একটি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার মূলমন্ত্র হচ্ছে মানিয়ে নেওয়া। প্রেম কিংবা দাম্পত্যজীবন যেকোন ক্ষেত্রেই মানিয়ে নেওয়া শিখতে হয়।
সুখী সম্পর্ক ধরে রাখতে চাইলে কিছু বিষয়ের দিকে নজর রাখতে হবে। যেমনঃ
১। স্নেহ-ভালোবাসাঃ আপনার সঙ্গীর সাথে ভালোবাসা হবে শুধু শারীরিক নয়, মানসিক ভালোবাসাও থাকতে হবে সঙ্গীর সাথে। যেকোন ধরনের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হলে স্নেহ, ভালোবাসার কোন কমতি থাকলে চলবে না। হাতে হাত রাখা এবং ছোট খাটো মেসেজ আদান প্রদান একটি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্লাস্টিকের বোতল বারবার ব্যবহারে স্বাস্থ্য ঝুঁকি
২। দায়বদ্ধতাঃ সম্পর্কের শুরুতে দায়বদ্ধতা বা প্রতিশ্রুতি বিষয়টা আশা করা খুবই ভুল বিষয়। কিন্তু দায়বদ্ধতার ইচ্ছাটা থাকা খুবই জরুরি। অন্ততপক্ষে বুঝতে পারা যায় সামনের জীবনটা একসাথে দুইজন হাটতে পারবো।
৩। মন খোলাঃ একটি সম্পর্ক নানা ধরনের ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে যায়। জীবনের সব পরিস্থিতি সমান হয় না। যেকোন পরিস্থিতি বা ঘটনা খোলা মনে মেনে নিয়ে জীবনে চলতে হয়। তাহলেই জীবন ভালো কাটবে, সম্পর্ক ভালো থাকবে এবং নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করা যাবে।
সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য যে কাজগুলো করা দরকার
৪। সততাঃ যেকোন একটি সম্পর্কের মূলমন্ত্র হচ্ছে সততা। সম্পর্কে সততা মূল্য অপরিসীম। সততা এবং পারস্পরিক বিশ্বাস একটি সম্পর্ককে তাজা রাখতে সাহায্য করে।
৫। নিজেকে প্রকাশ করাঃ সবসময় সঙ্গীর সাথে অনেক বেশি কথা বলতে ইচ্ছা করে না। বিশেষত যখন বেশি মানসিক চাপে থাকা যায়। এই সময়টাতে নিজেকে সঙ্গীর থেকে একদম গুটিয়ে রাখা যাবে না। নিজের সুবিধা অসুবিধা তাকে খুব ভালো করে বুঝতে দিতে হবে।
গরমে পোশাক নির্বাচনে যেসব মাথায় রাখতে হবে
৬। আস্থাঃ সঙ্গীর প্রতি সবসময় আস্থা রাখতে হবে। মাঝে মাঝে ঝগড়া হতে পারে কিন্তু সেটা মনে না রাখাই ভালো এবং এই ঝগড়া যেন কোন অভ্যাসে পরিণত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৭। অগ্রাধিকারঃ প্রতিটি মানুষের জীবনেই কোন একটি বিষয় অগ্রাধিকার থাকে। এসব অগ্রাধিকার সবাই সব কিছুর আগে রাখতে চায়। প্রতিটি মানুষের সম্পর্ক যদি অগ্রাধিকারের বিষয় না হয় তাহলে সমস্যা তৈরী হবে।
৮। সম্মানবোধঃ উভয়ের আর্দশ, চিন্তাভাবনা, বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। পারস্পারিক সম্মানবোধ না থাকলে কোন সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।
শুধু কলাই নয় কলার খোসাতেও থাকে নানা উপকারী গুণাগুণ
৯। সহমর্মিতাঃ সহমর্মিতা ও সংবেদনশীলতা একটি সম্পর্কের মধ্যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয়। যেসব দম্পতি পরস্পরের প্রতি অনেক বেশি সংবেদন ও সহমর্মি তাদের বিবাহিত জীবন খুবই সুখের হয়।
আরো পড়ুনঃ মুড সুইং নিয়ন্ত্রণে যা করবেন
One Comment