

অনেক তাপদাহের ফলে শরীরে খুব বেশি ঘাম হয়ে থাকে। এই ঘামের ফলে আময়াদের শরীর ঠান্ডা থাকে এবং দেহের ভারসাম্য বজায় থাকে। কিন্তু এই ঘামই যখন মাত্রাতিরিক্ত হয়ে থাকে তখন শরীরে পানিশূণ্যতা দেখা দেয়। এই পানিশূণ্যতার ফলে অনেকেই গরমে হিটস্ট্রোক করে। এমনকি মারাও যেতে পারে। তাই এসব থেকে রক্ষা পেতে আমাদেরকে অবশ্যই কিছু জলীয় খাবার খেতে হবে। কিছু ফল অবশ্যই আমাদের এই গরমে খেতে হবে।.
আরো পড়ুনঃ চুলকে স্বাস্থ্যবান রাখতে ভিটামিন
তরমুজ
তরমুজ লাল রঙয়ের একটি ফল। এটি সাধারণ পুরো গরমে পাওয়া যায়। এটি খুব বেশি মূল্যবান ফল নয়। তরমুজ আমাদের শরীরের পানিশূণ্যতা দূর করে। তরমুজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। তাই গরমে এই ফলটি অবশ্যই খেতে হবে। এছাড়াও এতে থাকা লাইকোপিন আমাদের ত্বককে বাইরের তাপ থেকে রক্ষা করে। তাই গরমের তাপ থেকে বাচতে তরমুজ অবশ্যই খেতে হবে। এছাড়াও এই ফলে পটাশিয়াম, ক্যারোটিন্য়েডস, এন্টিওক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ফাইবার ও ক্যালসিয়াম থাকে। প্রতিদিন তরমুজ খেলে চুল কম পড়ে। হার্টের যেকোন ধরনের রোগ তরমুজ খেয়ে প্রতিরোধ করা যায়। এসব এন্টিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য ছাড়াও তরমুজে ৯০% পানি রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ চুল ঘন ও ঝলমলে করার উপায়

আম
আমে প্রায় ৮৩% পানি থাকে। তাই এই ফল আমাদের শরীরকে আর্দ্র রাখতে উপকারী। আমে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন কে রয়েছে। এসব ভিটামিন ছাড়াও আমে কিছু খনিজ লবণ যেমন পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও পলিফেলন থাকে যা আমাদের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। আম আমাদের শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, ত্বক পরিষ্কার করে এবং চোখ ভালো রাখে।
আরো পড়ুনঃ গরমে পোশাক নির্বাচনে যেসব মাথায় রাখতে হবে
আনারস
টক মিষ্টি স্বাদযুক্ত এই ফলটিতে ৮৬% পানি থাকে। তাছাড়াও এতে ভিটামিন সি, ম্যাঙ্গানিজ থাকে। আমাদের শরীরের বেশির ভাগ অংশই জলীয়। দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনে রেখে খাবার হজম এবং সব কিছুতেই এই জলীয় অঙ্গশের ভূমিকা রয়েছে। নিঃশ্বাস, ঘাম, প্রস্রাব এসব কিছুতেই নানা শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় প্রতিনিয়ত যে পানি বের হয়ে আসে তা পূরণ করতে এরকম পানীয় খাবারের প্রয়োজন। তাই পানিশূণ্যতা হওয়ার আগেই এসব জলীয় ফল খেতে ইবে।
আরো পড়ুনঃ পানি পান করার সঠিক নিয়ম
স্ট্রবেরি

এই ফলে অনেকাংশে পানি থাকে। প্রায় ৯১% পানি থাকে। এছাড়াও ভিটামিন ও খনিজ লবণ থাকে। এই ফল দেহের কোলেস্টেরল কমায়। পরিপাকেও সাহায্য করে। গর্ভাবস্থার প্রথমদিকে এই ফল খুবই উপকারী। কারণ ভ্রূণের বৃদ্ধিতে স্ট্রবেরী খুবই উপকারী। তাছাড়া শরীরের পানির মাত্রা ঠিক রাখতে এই ফল খুবই ভালো কাজ করে। তাই গরমে এই ফল খেলে সুস্থ থাকা যায়।
আরো পড়ুনঃ মস্তিষ্কের জন্য সেরা খাবার
শসা
শসাতে প্রায় ৯৬% পানি থাকে। যা আমাদের শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। এই ফলটি আমরা সাধারণত কাঁচা খেয়ে থাকি। আবার অনেক সময় সবজি হিসাবেও খাওয়া যেতে পারে। শসাতে প্রচুর পরিমাণে এন্টিওক্সিডেন্ট ও ডিটক্সিং পাওয়ার রয়েছে। শসা ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া ত্বকের জ্বালা কমায়। ত্বক শীতল রাখে। এটি ত্বকের মাক্স হিসাবে কাজ করে।
এসব ফল গ্রীষ্মকালীন ফল। এগুলো গরমের সময় খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। সুস্থ ও সবল থাকে।
আরো পড়ুনঃ কোন খাবারে প্রোটিন বেশি
3 Comments