
আমাদের প্রতিদিনের যেকোন কাজের জন্য আঙুলের প্রয়োজন হয় সবসময়। ফলে নখের উপর ও প্রভাব পড়তে থাকে। হাতের ত্বকের মতো তাই নখের ও যত্ন নিতে হয়। বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ যত্নের মাধ্যমে নখের সৌন্দর্য নিশ্চিত করতে হবে।
নখের অভ্যন্তরীণ যত্নঃ
নখের বৃদ্ধি ও বিন্যাসে আমিষের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এই আমিষের নাম কেরাটিন। শরীরে যদি আমিষের অভাব হয় তাহলে নখ ও চুলের উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। তাই সর্বদা আমিষসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন। আমিষের পাশাপাশি নিয়মিত শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এছাড়া ও আরো কতকগুলো খাবার রয়েছে যেগুলো নখ মজবুত ও সুন্দর করতে সাহায্য করে।
মাছঃ ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ মাছ আমিষ ও সালফারের খুব ভালো উৎস। এসব মাছ নখ মজবুত ও মসৃণ করতে সাহায্য করে।
ডিমঃ ডিমে প্রোটিন ছাড়াও আরো কিছু খাদ্য উপাদান আছে যেমন বায়োটিন, ভিটামিন বি১২, আয়রন ইত্যাদি। এসব উপাদান নখকে পুরু করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ডিম রাখা উচিত। তাহলে নখের জন্য একটি ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
ভিটামিন ইঃ নখ শক্ত ও মজবুত রাখতে হলে ভিটামিন ই জাতীয় খাদ্যের প্রয়োজন রয়েছে। একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল কেটে জেল বের করে নখে লাগালে নখের খুব ভালো উপকার পাওয়া যায়। আবার ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলেও চুল ও নখের উপকার পাওয়া যায়।
সবুজ শাকসবজিঃ আমাদের খাদ্যতালিকায় সবসময় সবুজ শাকসবজি রাখা উচিত। ক্যালসিয়াম, আয়রন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ব্রকলি, পালংশাক জাতীয় খাবার খেলে নখের খুব উপকার হয়। তাহলে নখ সুন্দর ও মজবুত হয়।
ওটসঃ ওটস নখের জন্য খুব উপকারী একটি খাদ্য। ওটসে কপার, জিংক, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি থাকে। কি কি খাবার ত্বক উজ্জ্বল করে ?
রাতে কোন খাবার খেলে ওজন বাড়বে না?
মুখ ধোয়ার সময় যেসব ভুল করা যাবে না ভুলেও।
নখের বাহ্যিক যত্নঃ
নখের সুস্থতার জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকাটা খুবই জরুরী। প্রতিদিন বাসন মাজা ও কাপড় কাচার পরে হাত ভালোভাবে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার মেখে নিতে হবে। তাহলে নখ ও হাত দুটোই ভালো থাকবে। ভ্যাসলিন নখের জন্য খুবই উপকারী। তাই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভালো করে নখে ভ্যাসলিন লাগিয়ে নিতে হবে।
নখ যদি আরো ভালো রাখতে চান তাহলে সর্বদা নখে গ্লাভস পড়ে নেওয়া উচিত। নখে কখনো কড়া সাবান ও গরম পানি ব্যবহার না করাই ভালো। নখ বেশি চাছলে নখ পাতলা হয়ে ভেঙ্গে যায়। তাই নখ চাছা থেকে বিরত থাকতে হবে।
নখে যথাসম্ভব কম নেইলপলিশ ব্যবহার করা উচিত। তেল, হলুদ ও রান্নার মশলা থেকে নখকে রক্ষা করতে হবে। তাই প্রতিটি মশলার কৌটায় চামচ ব্যবহার করতে হবে।
নখের যত্নের জন্য একটি প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে। জলপাই তেলে কয়েক ফোটা পরিমাণ পাতি লেবুর রস মেশাতে হবে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে প্রতিটি আঙ্গুলে ভালো করে এই মিশ্রণটি মালিশ করে নিতে হবে। তারপর সারা রাত এটি নখে লাগিয়ে রাখতে হবে। কিছুদিন এভাবে ব্যবহার করলে খুব উপকার পাওয়া যাবে।
নখে অতিরিক্ত দাগ, হলদে ভাব ও নখ তাড়াতাড়ি ভেঙ্গে যাওয়া, নখে ঘা হওয়া বা নখ পচে যাওয়া থেকে রক্ষা পেতে হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ডার্ক সার্কেল দূর করার উপায়
ঘরোয়াভাবে চুল সিল্কি করার উপায়
আরো পড়ুনঃ গরমে ঘাড়ের যত্ন
One Comment