
অনেকেরই দেখা যায় খুব অল্প বয়সে চুল পেকে যাচ্ছে। বয়স বাড়লে চুল পাকা একটা স্বাভাবিক বিষয় কিন্তু অল্প বয়সেই অনেকেরই চুল পাকার সমস্যা দেখা যায়। কেউ কেউ চুল কালো করার জন্য কৃত্রিম রং ব্যবহার করে থাকে। এটি সাময়িক সময়ের জন্য সৌন্দর্য বৃদ্ধি করলেও এটির ফলে মারাত্নক ক্ষতি হয়ে থাকে। তাই অসময়ের এই পাকা চুল কালো করতে কিছু ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করা উচিত।
চুল পাকার পিছনে নানা কারণ রয়েছে। যেমনঃ বয়সজনিত কারণ। আবার বয়সজনিত কারণ ছাড়া যদি চুল পেকে যায় তাহলে সেটা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের শরীরে লাখ লাখ চুলের ফলিকল রয়েছে। এগুলো চুল তৈরী করতে ও চুলের রং ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ত্বক ও চুলের যত্নে সরিষার তেলের ব্যবহার
আবার পিগমেন্ট কোষে মেলানিন নামক এক ধরনের উপাদান থাকে। এটি ও চুলের রং ঠিক রাখতে সাহায্য করে। বয়সের সাথে যখন পিগমেন্ট কোষ গুলো নষ্ট হতে শুরু করে তখন চুল পাকতে শুরু করে।
অসময়ে চুলে পাক ধরার আরেকটি অন্যতম কারণ হচ্ছে ভিটামিনের অভাব। ভিটামিন বি-৬, বি-১২, ভিটামিন ডি, বায়োটিন ও ভিটামিন ই এর অভাবে অল্প বয়সেই চুলে পাক ধরে যায়। জিনগত নানা কারণেও চুলে পাক ধরে যেতে পারে। এছাড়া ও অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, ধূমপানের কারণেও চুলে পাক ধরতে পারে। গরমে ত্বকের বাড়তি যত্ন
অল্প বয়সে চুলে পাক ধরার ঘরোয়া উপায় গুলো জেনে নিনঃ
১। কারিপাতা ও নারিকেল তেল চুল কারো রাখতে সাহায্য করে। চুল কালো রাখতে প্রয়োজন হয় মেলানিন। কারি পাতাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে মেলানিন থাকে। আবার মেলানিন নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।
একটি পাত্রে ৩ চা চামচ নারিকেল তেল নিতে হবে। তাতে ৫-৬ টি কারিপাতা দিতে হবে। তারপর চুলায় বসিয়ে হালকা আচে নাড়াচাড়া করতে হবে। মিশ্রণটি কালচে হয়ে এলে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিতে হবে। এরপর চুলের গোড়ায় ভালো করে এই তেল ম্যাসাজ করে দিতে হবে। তেল দিয়ে ঘণ্টা খানেক অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে অন্ততপক্ষে ২-৩ দিন এই তেল ব্যবহার করলে চুল কালো থাকে।
কি কি খাবার ত্বক উজ্জ্বল করে ?
২। আমলকি ও নারিকেল তেল চুল কালো রাখতে সাহায্য করে। আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। চুলের কোলাজেনের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে ভিটামিন সি। আমলকি ও নারিকেল তেল একসাথে মিশিয়ে ব্যবহার করলে পাকা চুল কালো হয়ে যায়।
২ চা চামচ আমলকির গুঁড়া ও তিন চা চামচ হালকা গরম নারিকেল তেল নিতে হবে। এরপর ভালো করে মিশিয়ে তেল ঠান্ডা করে নিতে হবে। মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে এলে চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে একটি মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এটি সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করতে হবে। এটি প্রাকৃতিকভাবে চুল কালো করতে সাহায্য করে।
৩। লেবুর রস ও নারিকেল তেলে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন সি ও ফসফরাস থাকে। লেবু যেমন খাওয়ার জন্য একটি উপকারী ফল তেমনি চুলে ব্যবহার করার জন্য ও লেবু খুব উপকারী। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি ও ফসফরাস চুলের পিগমেন্টেশন বজায় রাখতে সাহায্য করে।
২ চা চামচ লেবুর রস নিতে হবে। এর সাথে ২ চা চামচ হালকা গরম নারিকেল তেল মেশাতে হবে। এই মিশ্রণটি খুব ভালো করে চুলের গোঁড়ায় লাগাতে হবে। ঘন্টাখানেক রেখে দিয়ে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। এভাবে সপ্তাহে দুইদিন ব্যবহার করলে খুব ভালো উপকার পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ খুশকি দূর করার উপায়
One Comment