
একজন সুদর্শন পুরুষ মানেই সুন্দর ত্বক, চুল ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। মূলত গরম, রোদ, বৃষ্টি এগুলো নারী, পুরুষ কারো চেনে না। ত্বকের ক্ষতি সকলেরই হয়ে থাকে। মরাকোষ, ব্রণ, ত্বকে কালো দাগ, ট্যান, খুশকি সকলেরই হয়ে থাকে। নারী পুরুষ সকলেরই ত্বকের ক্ষতি হয়। কিন্তু নারী পুরুষের ত্বকের ধরন আলাদা হয়ে থাকে। তাই পুরুষের রূপচর্চা করতে হয় বেশি।
সারা বছর সকলেরই উচিত ত্বকের যত্ন নেওয়া। নিয়মিত ত্বকের যত্ননিতে হয়। ত্বক পরিষ্কার রাখতে হয়। ব্যালেন্স ডায়েট ফলো করতে হয়। আবার ঠিকমতো ঘুমাতে হয়।
রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে ত্বকে র রং কালো হয়ে যায়। আবার ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়। তাই নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিতে হয়। মেয়েদের থেকে ছেলেদের ত্বক অনেক বেশি পুরু তাই দুইজনের যত্ন ও আলাদা হয়ে থাকে। কিন্তু পুরুষেরা রূপচর্চা করতেই চায় না।
বর্তমানে অনেক ছেলেই শেভ করানো, চুল কাটার পাশাপাশি ত্বকের ও যত্ন নিচ্ছে। তারা ফেসিয়াল করছে, মেনিকিউওর, পেডিকিউর করছে।
ছেলেদের সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়ে থাকে ভ্রুরেখার ভাজ, চোখের কোণে কুচকে যাওয়া, উচুনিচু ত্বক ও গাল ঝুলে পড়া। তাই ছেলেদের উচিত তাদের ত্বকের ও চুলের সঠিক যত্ন নেওয়া। পুরুষের সঠিক রূপচর্চা করলে তাদের ত্বক ও চুল ভালো থাকবে।
আরো পড়ুনঃ বর্ষায় ত্বককে প্রাণবন্ত করার উপায়
আসুন এখন দেখে নিই ছেলের ত্বকের যত্ন কিভাবে নিতে হয়-
প্রতিদিন দুইবার করে মুখ ধুতে হবে-
প্রতিদিন দুইবার করে মুখ ধুতে হবে। মুখ ধোয়ার সময় ফেসওয়াশ ব্যবহার করাই ভালো। তবে ফেসওয়াশ ব্যবহার না করলে সাবান দিয়েও মুখ ধোয়া যাবে। মূলত মুখের নোংরা পরিষ্কার হলেই চলবে।
ছেলেদের ফেইশল বা ফেসিয়াল-
মেয়েদের থেকে ছেলেদেরকে বেশি সময় বাইরে কাটাতে হয়। তাই ঘর থেকে বের হওয়ার আগে ভালো করে সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। ব্যাগের মাঝে ছোট একটা ফেসওয়াশ নিয়ে যেতে হবে। সময় পেলে ফেস ভালো মতো ওয়াশ করে নিতে হবে। তারপর কাজ করতে হবে। তাহলে ধুলাবালি থেকে ত্বক রক্ষা পায়।
যারা প্রতিদিন ভালো মতো মুখ পরিষ্কার করার সময় পায় না তারা মাসে একদিন বিউটি সেলুনে যেয়ে ফেইশল করানো যেতে পারে। জেন্টস পার্লারে যেয়ে ছেলেরা ম্যাসাজ ও করাতে পারে। আবার যাদের ত্বক খুব শুষ্ক তারা সানবার্ন ফেসিয়াল করাতে পারে। তাহলে রোদেপোড়া দাগ উঠে যাবে। আবার ওয়েলি স্কিনের জন্য গোল্ড ফেসিয়াল ও অ্যালোভেরা ফেসিয়াল করাতে পারে। ব্রণের সমস্যা থাকলে আয়ুর্বেদিক ফেসিয়াল ও করানো যেতে পারে। আবার ঘরে বসেও চন্দনের প্যাক লাগালে রোদে পোড়া ভাব দূর হয়ে যাবে।
ত্বকে ব্ল্যাক হেডস থাকলে গরম পানিতে ভাপ নিয়ে আস্তে আস্তে দুই আঙ্গুলের মাথা দিয়ে চাপ দিয়ে উঠানো যেতে পারে। চোখের নিচে ফোলা ভাব থাকলে অল্প গরম পানিতে লেবুর রস ও মধু মিধিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেলে উপকার পাওয়া যায়। চোখের নিচের ত্বক পাতলা হয় তাই কোন ক্রিন বা লোশন ব্যবহার করা উচিত নয়।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে-
তৈলাক্ত ত্বকে মুখ ধোয়ার পর টোনার ব্যবহার করতে হবে। এতে অতিরিক্ত ধুলাবালি জমে থাকতে পারবে না। মুখ ধুয়ে টোনার ব্যবহার করে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
চুলের যত্ন
ত্বক পুষ্টি পেলেই চুল পুষ্টি পায়। কারণ চুলের কোন আলাদা রক্তনালি নেই। চুলে নিয়মিত তেল দিতে হবে। শ্যাম্পু করতে হবে ভালো মতো। কন্ডিশনিং করতে হবে। চুলে কিছু হেয়ার প্যাক লাগানো যেতে পারে সপ্তাহে একদিন। আবার মেহেদি দেওয়া যেতে পারে। এতে চুল অনেক ভালো হবে।
খুশকি
খুশকি খুবই সাধারণ একটা সমস্যা। এটি নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলেরই হয়ে থাকে। অনেক দিন ধরে কারো মাথায় খুশকি থাকলে তার মুখে ব্রণ হতে পারে। চুল পড়ে যেতে পারে। তাই মাথায় তেল দিতে হবে। মেহেদি দিতে হবে। ডিমের সাদা অংশ, দই বা কফি অল্প গরম পানি দিয়ে ভালো মতো পেস্ট করে চুলে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা পর ধুয়ে নিতে হবে। তাহলে খুশকির সমস্যা অনেকটাই দূর হয়ে যাবে।
আরো পড়ুনঃ বর্ষায় ত্বককে প্রাণবন্ত করার উপায়
One Comment