পায়ের মাংসপেশিতে টান ধরলে কি করতে হবে?
আমাদের সবারই অনেক সময় পায়ের পেশিতে হঠাত করে টান ধরে। এই টান ধরা বিশেষ করে ঘুমের সময়ে বেশি হয়ে থাকে। তখন প্রচন্ড ব্যথায় ঘুম ভেঙ্গে যায়। কোনভাবেই আর পা টান করা যায় না বা ভাজ করা যায় না। আবার ঘুমের সময়ে ছাড়াও একটানা পা ভাজ করে রাখলে বা সকালে হাটা শুরু করলে পায়ের পেশিতে টান ধরতে পারে।
পায়ের পিছনের মাংসপেশিতে অথবা পায়ের পাতায় টান ধরে। টান ধরার একটা অন্যতম কারণ হচ্ছে পেশি হঠাত করে শক্ত হয়ে যাওয়া। মাঝে মাঝে ব্যথ পায়ের উরুতেও হয়ে থাকে। ব্যথার তীব্রতা কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট পর্যন্ত দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে। কারো কারো এই ব্যথা সারা রাত ও যন্ত্রণা দিয়ে থাকে।
যেকোন বয়সের যেকোন মানুষেরই এই ব্যথা দেখা দিতে পারে। তবে নারী ও বয়স্ক ব্যক্তিদের এই পেশীতে টান ধরার সমস্যাটা বেশি দেখা যায়। গরমে হিট স্ট্রোক থেকে মুক্তি পাবেন কিভাবে?
এতো সময় তো আমরা জানলাম পেশীতে টান ধরা সম্পর্কে। এখন আমরা জেনে নিবো পেশিতে টান ধরে কেন?
পেশীতে টান ধরার কারণঃ
নানা কারণে পেশীতে টান ধরতে পারে। যেমনঃ-
১। পানি শূন্যতা
২। শরীরে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের অভাব হলে
৩। অতিরিক্ত ব্যায়াম করলে
৪। অতিরিক্ত কাজ করলে বা পরিশ্রম করলে পায়ের পেশিতে টান ধরতে পারে।
৫। টানা দাঁড়িয়ে বা বসে কাজ করতে থাকেল।
৬। প্রেগন্যান্সিতে বিশেষ করে শেষের তিন মাসে।
৭। নানা ধরনের রোগ যেমন বাত, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, কিডনি ও হার্টের সমস্যা হলে।
৮। অতিরিক্ত পরিমাণে মাদকদ্রব্য গ্রহণ করলে এই পেশিতে টান ধরার সমস্যা দেখা দেয়।
শরীরের ব্যথা দূর করে যেসব খাবার
পেশীতে টান ধরলে যা করা উচিতঃ
১। পায়ের পেশীতে টান ধরলে দ্রুত করেই পেশীকে রিলাক্স করতে হবে। পেশী প্রসারিত করলে ব্যথা কমে যাবে।
২। পায়ের পিছনের পেশীতে টান ধরলে পা সোজা করে হাত দিয়ে পায়ের আঙ্গুল নিজের দিকে টানতে থাকতে হবে। পাশাপাশি মাংসপেশীতে হালকা ম্যাসাজ বা মালিশ করতে হবে।
৩। পেশীতে টান ধরলে পায়ের নিচে বালিশ দিয়ে উচু করে রাখতে হবে।
৪। আবার হট ওয়াটার ব্যাগ দিয়েও গরম সেক দেওয়া যেতে পারে। পেশী ফুলে গেলে আইসব্যাগ দেওয়া যেতে পারে। তাহলে ব্যথা ও ফোলা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি করবেন?
চল্লিশ পেরোলেই প্রতিদিন একটা করে ডিম?
পেশীতে টান ধরা থেকে যেভাবে মুক্তি পাবেনঃ
১। শরীরে পানিশূণ্যতা দূর করতে দিনে অন্ততপক্ষে ৮ গ্লাস করে পানি পান করতে হবে। পানির পাশাপাশি ফলের রস, ডাবের পানি পান করতে হবে।
২। ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য যেমন- ডিম, দুধ, বাদাম, কলিজা ও সবুজ শাকসবজি পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে।
৩। নিয়মিত পায়ের ব্যায়াম বিশেষ করে মাংসপেশীর এক্সসারসাইজ করতে হবে।
৪। মদ্যপান বা ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে।
৫। সপ্তাহে অন্ততপক্ষে ৫ দিন ৩০ মিনিট করে হাটা উচিত।
৬। দীর্ঘ সময় একটানা হাটাচলা করা বা একটানা বসে থাকা থেকে বিরত থাকতে হবে।
যদি এই পায়ের পেশীর টান ধরা বা পেশীতে টান লাগা থাকে বা পায়ের চামড়ার রং পরিবর্তন হয়ে যায় বা পা ঝিন ঝিন করে কিংবা শরীরে অন্য কোন অংশে ব্যথা অনুভূত হয় তাহলে খুব দ্রুতই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আরো পড়ুনঃ যেসব ভিটামিনের অভাবে শরীর ক্লান্ত লাগে