
কলা একটি খুবই সহজলভ্য ফল। মোটামুটি সহজলভ্য ফলের কথা বলতে গেলেই কলার নাম প্রথমে মনে পড়ে। তবে কলা বেশি পাওয়া যায় বলেই কলার কদর কম। কলার পুষ্টিগুণের কোন শেষ নেই। কলা শরীরের শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। আবার কলা নানা ধরনের সমস্যার সমাধান করে থাকে।
কলা হচ্ছে ক্যান্ডির প্রাকৃতিক সংস্করণ। পাকা কলা একটি মিষ্টি জাতীয় খাবার তাই যেকোন প্রক্রিয়াজাত খাদ্যে মিষ্টি খাবারের বিকল্প হতে পারে এই কলা। কলাতে ভিটামিন ও মিনারেলস পাওয়া যায়। তাই যেকোন স্বাস্থ্যকর ডায়েটে অবশ্যই কলা রাখা উচিত।
কলার পুষ্টিগুণঃ
প্রতি ১০০ গ্রাম কলাতে ১১৬ ক্যালোরি পাওয়া যায়। আয়রন ০. ৬ মি. গ্রা., ফসফরাস ৫০ মি .গ্রা, পানি ৭০. ১%, প্রোটিন ১.২%, ফ্যাট ০.৩%, আশ ০.৪%, শর্করা ৭.২% ও অল্প পরিমাণ ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ৮ মি.গ্রা পাওয়া যায়।
কলার উপকারিতাঃ
১। কলাতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়। আয়রন রক্তকণিকা ও হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে। আয়রনের ঘাটতি হলে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। তাই এক মাসে দুইটি করে কলা খেলে ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়।
২। কলা বিষণ্ণতা হ্রাস করতে সাহায্য করে। কলা মানুষের মস্তিষ্কে সুখী হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়।
৩। ওজন কমে গেলে কিংবা দূর্বলতা দেখা দিলে কলা শরীরে শক্তি সঞ্চার করে। কলা খেলে দূর্বলতা কেটে যায়।
৪। কলা খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ফলে ক্লান্তিভাব দূর হয়। তাই গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন কলা খেলে ভালোভাবে সন্তান প্রসব হয়।
৫। কলা এনার্জি বাড়িয়ে দেয়। কলা পাকস্থলীকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। কলা দেহের ভিতরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
আরো পড়ুনঃ বেশি কিসমিস খেলে কি ক্ষতি হতে পারে?