
খাদ্যবস্তু হজমে অসুবিধা দেখা দিলে যে অবস্থা হয় তাকে বদহজম বা ডিসপেপসিয়া বলে। বমি বমি ভাব, পেটে ব্যথা, চুকা ঢেকুর এবং পেট ভুটভাট করা ইত্যাদি বদহজমের লক্ষণ। অন্ত্রের গঠনে কোন ত্রুটি না থাকলেও যদি বদহজম হয় তাকে কার্যগত বদহজম বলে। দুশ্চিন্তা, ভয় ইত্যাদি মানসিক কারণে এধরণের বদহজম দেখা দেয় অথবা কোন খাদ্যের প্রতি বিশেষ অনীহা সত্ত্বেও যদি তা খেতে বাধ্য করা হয় তবে এমন হতে পারে। এছাড়া পৌষ্টিক নালীর গঠনে ত্রুটি অথবা পিত্তনালী বা প্যানক্রিয়াসে ত্রুটি হলেও বদহজম দেখা যেতে পারে।
চিকিৎসাঃ পৌষ্টিক নালীর বা অন্যান্য অঙ্গে কোন ত্রুটি থাকলে চিকিৎসকের সাহায্যে রোগ নির্ণয় করে তার চিকিৎসা করতে হবে। তবে সাধারণত বদহজম হলে খাদ্যব্যবস্থায় যত্নশীল হতে হয়।
খাদ্যব্যবস্থাঃ খাদ্য এমন হতে হবে যেন তা অল্প অবশেষ যুক্ত ও সরল স্বাদের হয়। এর সাথে প্রতিদিন সকল ভিটামিন চাহিদা অনু্যায়ী গ্রহণ করতে হবে। কড়া স্বাদ ও গন্ধের খাদ্য বর্জন করতে হয়। অল্প পরিমাণ খাদ্য বারে বারে খাওয়া ভালো। খুব ভালো করে চিবিয়ে চিবিয়ে খাদ্য খাওয়া ভালো।

প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও মহিলার বদহজম হলে বরাদ্দকৃত খাদ্যঃ
খাদ্যবস্তু পরিমাণ
বস্তু ছাটা খাদ্য ২০০ গ্রাম
দুধ ও দই ৬০০ গ্রাম
মাছ \ মাংস ১০০ গ্রাম
ডিম ৫০ গ্রাম
ফল ২০০ গ্রাম
আশহীন সবজি ৫০ গ্রাম
ফলের রস ৩০০ গ্রাম
তেল বা চর্বি ৩০ গ্রাম
চিনি বা মধু ৮০ গ্রাম
দৈনিক মেনুর উদাহরণঃ
ভোরবেলাঃ ফলের রস-১ কাপ
নাস্তায়ঃ দুধের পুডিং-১পরিবেশন
পাউরুটি-২ স্লাইস
মাখন-১ চা চামচ
ডিম সিদ্ধ-১টা
চা-১কাপ
দুপুরেঃ ভাত-২ কাপ
মাছের ঝোল-১টি মাছ ও তরকারি
দই-১ কাপ
পাকা পেপে-১ কাপ
বিকালেঃ বিস্কুট-২ টা
চা- ১কাপ
রাতেঃ মাংসের স্যুপ-১ কাপ
ভাত-২ কাপ
মাছের ঝোল বা মুরগির মাংস-১ টুকরা
দুধের পুডিং-১কাপ
আরো পড়ুনঃ
2 Comments