
বেকিং করার সময় উপাদান গুলো পরিমাপ করে ঠিকঠাক করে নিতে হয়। কিন্তু অনেকেই আবার এতো মাপামাপি পছন্দ করে না। উপকরণের কম বেশি হলে হীতে বিপরিত হয়ে যেতে পারে। রুটি বানাতে হলে ঈষ্টের পরিমাপ সঠিক হলেই রুটি ভালো হবে। আবার কেক বানাতে গেলে বেকিং পাউডার সঠিক পরিমাণে হতে হয়।
বেকিং করতে গেলে যদি কোন রেসিপি ফলো করা যায় তাহলে সেই রেসিপিটি পুরোপুরিভাবে ফলো করা উচিত। যদি ময়দার পরিমাণ কমানো যায় তাহলে অন্য উপাদানের পরিমাণ ও কমাতে হবে। এভাবে সঠিক পদ্ধতিতে কাজ করলে বেকিং খুব ভালোভাবে হবে। বেকিং এর উপাদান গুলো সঠিক না হলে কি হতে পারে সে বিষয়ে অনেকেরই সঠিক কোন ধারণা নেই।
বেকিং পাউডার-

বেকিং পাউডার যেকোন খাবারকেই নরম করে তুলতে সাহায্য করে। তবে কোন খাবারে বেশি বেকিং পাউডার দিলে খাবার ফেটে যাবে। আবার কোন খাবারেঙ্কম বেকিং পাউডার দিলে খাবারটি ফুলবে না ভালোমতো। চুপসে যাবে খাবারটি।
ময়দা-

ময়দার পরিমাণ ও কমবেশি হতে পারবে না। ময়দা বেশি হলে রুটি বা কেক শক্ত হয়ে থাকবে। আবার কম হলে নরম হয়ে যাবে। কেক বা রুটি কাটার আগেই ভেঙ্গে যেতে থাকবে।
বেকিং সোডা-

বেকিং সোডার পরিমাণ বেশি হলে ফুলে যায় খুব বেশি। আবার ফুলে ফেটেও যায়। কম হলে কেক বা রুটি একদমই ফুলে না। স্পঞ্জ ও সঠিকভাবে হয় না।
ডিম-

ডিম বেকিং এর সব পদকে নরম করে। ডিমের পরিমাণ যদি বেশি হয়ে যায় তাহলে ময়দার পরিমাণ ও কিছুটা বাড়িয়ে দিতে হয়। অন্যথায় নরম হয়ে যায়। বেশি হলে শুকনা হয়ে যেতে পারে।
ঈষ্ট-

ঈষ্টের পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে রুটি বানানোর সময় ফুলে বা ফেটে যেতে পারে। কম হয়ে গেলে একদমই ফুলে না। বাতাস লেগে ঈষ্ট নষ্ট হয়ে যায়। তাই প্যাকেট খুলেই ঈষ্ট ফ্রিজে রাখা উচিত।
তেল-

তেলের পরিমাণ ও সঠিক হতে হয়। তেল বেশি হয়ে গেলে পিঠার মতো হয়ে যায়।
দুধ বা বাটার মিল্ক-

এসব উপকরণ বেশি হয়ে গেলে কেক বা পাউরুটি ভিতর থেকে কাঁচা থেকে যায়।
আরো পড়ুনঃ শিশুদের সংক্রমণ রোধ করতে যেসব খাবার কাজ করে
2 Comments