
আমড়া পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি খুবই জনপ্রিয় ফল। আমড়া কম বেশি সকলের কাছেই প্রিয় একটা ফল। আমড়া প্রায় সব জায়গাতেই পাওয়া যায়। আমড়া আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
বাংলাদেশে পুষ্টিকর এই ফলটির দুইটি প্রজাতি আছে। একটা বিলাতি আমড়া ও অন্যটি দেশি আমড়া। দেশি আমড়া খুব বেশি টক হয়ে থাকে। বিলাতি আমড়া দেশি আমড়ার থেকে কম টক। এটি টক- মিষ্টি স্বাদের হয়ে থাকে। এর শাস বেশি ও আকারে বড়। বিলাতি আমড়া কাঁচা খেতে খুব ভালো লাগে।
দেশি আমড়া ও বিলাতি আমড়া দুটোই কাঁচা খাওয়া যায়। আবা সুস্বাদু আচার, চাটনি ও জেলি বানিয়েও খাওয়া যায়। তরকারি হিসাবেও যেকোন ভাবে আমড়া খাওয়া যায়।
আমড়াতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, কার্বোহাইড্রেট খাদ্যাশ, সামান্য প্রোটিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। আমড়াতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় আমড়া স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে। মুখের রুচি ফিরিয়ে আনে ও হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
আপনি শুনলে অবাক হয়ে যাবে যে, একটি আমড়ায় তিনটি আপেলের সমান পুষ্টি আছে। আমড়ার এসব উপকারিতা সবার জানা উচিত।
প্রতি ১০০ গ্রাম আমড়াতে-
- ১. ১ গ্রাম প্রোটিন
- ১৫ গ্রাম শ্বেতসার
- ০.১০ গ্রাম স্নেহ জাতীয় পর্দাথ
- ৮০০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন
- ০.২৮ মিলিগ্রাম থায়ামিন
- ০.০৪ মিলিগ্রাম রিবোফ্লাভিন
- ৯২ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি
- ৫৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম
- ৩.৯ মিলিগ্রাম লৌহ ও
- ৬৬ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি পাওয়া যায়।
- মিনারেলসের পরিমাণা ০.৬ গ্রাম।

আমড়ার পুষ্টিগুণ-
১। আমরা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি। ভিটামিন সি স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে। স্কার্ভি হলে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়, দাঁতের গোড়া দিয়ে পুজ ও রক্ত পড়ে, মাড়িতে প্রচন্ড ব্যথা হয়।
২। আমড়ার বীজ কৃমি নাশক হিসাবে কাজ করে।
৩। আমড়া ক্ষুধামন্দা ভাব দূর করে।
৪। আমড়া কফ দূর করে।
৫। আমড়া বীজ উউচরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৬। আমড়া শর্করা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে বলে আমড়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।
৭। আমড়ার ফুল হৃদরোগ চিকিতসাতে কাজে লাগে।
৮। আমড়া রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
৯। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট জাতীয় উপাদান থাকায় আমরা বার্ধক্যকে প্রতিহত করে।
১০। আমড়া গাছের পাতা সর্দি, জ্বর ও ব্যথা নিরাময় করতে সাহায্য করে।
১১। আমড়া গাছের বিভিন্ন অংশ ডায়ারিয়া সহ পেটের বিভিন্ন ব্যথায় কাজ করে।
১২। আমড়ার পাতা ও শিকড় আঘাতজনিত যেকোন সমস্যায় খুব ভালো কাজ করে।
১৩। আমড়া পাকস্থলী সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
১৪। আমড়া ত্বক সুন্দর ও উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। আমড়া নখ ও চুল ভালো রাখতে ও কাজ করে। আমড়া বিশেষ করে বুড়িয়ে যাওয়ার সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
১৫। যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন তাদের জন্য আমড়া খুব ভালো কাজ করে। আমড়াতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে যা শরীরের রক্তের স্বল্পতা সমাধান করতে সাহায্য করে। আমড়া রক্ত জমাট বাধতে সাহায্য করে।
১৬। আমড়াতে পেকটিন জাতীয় ফাইবার থাকে যা বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্যান্সার সহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে।
১৭। আমড়ার ভেতরের অংশের চেয়ে বাইরের খোসাতে বেশি ভিটামিন সি ও ফাইবার থাকে যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্বিগুণ করে। আশজাতীয় খাদ্য পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত ও পেটের ভিতরের বিভিন্ন অংশের জন্য আর্শীবাদস্বরুপ।
আরো পড়ুনঃ
One Comment