
মায়ের দুধ শিশুর জন্য আর্দশ খাদ্য। বুকের দুধ পান শুধু শিশুর জন্যই উপকারী নয় এটি মায়ের জন্যও উপকারী।
মায়ের দুধের পুষ্টি উপাদানঃ মায়ের দুধের পুষ্টি উপাদান শিশুর জন্য সবচেয়ে আর্দশ উপাদান। এতে শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান পরিমিত পরিমাণে থাকে।
শক্তিঃ মায়ের দুধ হতে ৬৫ কিলোক্যালরি শক্তি পাওয়া যায় প্রতি ১০০ গ্রাম দুধ হতে। প্রথম ২৪ ঘন্টায় গ্লাইকোজেন হতে শক্তি পাওয়া যায়। পরবর্তীতে গ্লুকোজ ও ফ্যাটি এসিড হতে শক্তি পাওয়া যায়।
কার্বোহাইড্রেটঃ মায়ের দুধে ল্যাকটোজেন থাকায় তা সবচেয়ে বেশি মিষ্টি।

আমিষঃ মায়ের দুধে ২০% বিটা কেসিন এবং ৮০% হোয়ে প্রোটিন থাকে যাতে ল্যাকটাল্বুমিন ও ল্যাকটোফেরিন থাকে। বুকের দুধে যে অ্যাামাইনো এসিড থাকে তা মস্তিষ্ক গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এ এসিডে সালফার থাকে। এতে সিস্টিন, মেথিওনিন এর পরিমাণ বেশি থাকে যা central nervous system এর জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।
লিপিডঃ মায়ের দুধের লিপিড অসম্পৃক্ত ফ্যাট। মস্তিষ্কের লিপিড বহু অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড দিয়ে তৈরী যা মেয়ের দুধে বিশেষ ভূমিকা রাখে। DHA নিউরাল বিভাজনের জন্য খুব গুরুতবপূর্ণ। মা যদি বেশি মাছ খায় তবে মায়ের দুধে বেশি ডিএইচঅএ বৃদ্ধি পায়। এছাড়া মায়ের দুধে লাইপেজ এনজাইম থাকে যা ফ্যাট বিপাকে সাহায্য করে।
খনিজ লবণ ও ভিটামিনঃ মায়ের দুধে বিভিন্ন ধরনের খনিজ লবণ যেমনঃ ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, জিংক, সোডিয়াম থাকে যা শিশুর হাড় ও দাঁতের জন্য প্রয়োজনীয়। মায়ের দুধে ভিটামিন “এ” ও ” সি” থাকায় তা অন্যান্য দুধ থেকে ভালো। প্রথম বছর মায়ের দুধ ঠিকমতো পান করলে শিশু জেরপথ্যালমিয়া ও কেরাটোম্যালেশিয়া হতে রক্ষা পেতে পারে।
শিশুর বয়স ৬ মাস হওয়ার আগ পর্যন্ত শুধুমাত্র বুকের দুধই তার জন্য যথেষ্ট। যদিও অনেক মা ৬ মাস হওয়ার আগেই দুধের পাশাপাশি পরিপূরক খাবার শুরু করে। তথাপি ৬ মাস বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধের বিকল্প নেই।
আরো পড়ুনঃ
4 Comments