
বর্তমানে আমরা সবাই অনেক বেশি ব্যস্ত সময় পার করছি। হাসি খুশি সময়ের মাঝেও কারো কারো হঠাত করেই খুব মন খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু মন খারাপের পিছনের কারণ জানা থাকে না। আবার কারণ জানা থাকলেও সবসময় বলা যায় না বা বলে উঠতে পারে না। মনে করে অন্য কেউ যেন বুঝতে পারে এমনিতেই। আবার অনেক সময় হঠাত করে রেগে উঠেন। এর অর্থ হচ্ছে ঘন ঘন মেজাজ বদলে যাওয়া। যাদের এই দ্রুত মেজাজ বদলে যায় বা মুড সুইং হয় তারা দ্রুতই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তাৎক্ষণিক কোন সমস্যার সমাধান ও করতে পারে।
সন্ধ্যার পরে যেসব খাবার খাওয়া ঠিক নয়
মুড সুইং জিনিসটাকে ইতিবাচক কোন কিছু ভাবাটাও ভুল। কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে মেজাজ হারানো জিনিসটা খুবই বিপদের হয়ে থাকে। মনোবিজ্ঞানীরা মুড সুইং নিয়ে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন। তারা বলেছেন বাইপোলার ডিস অর্ডার বা একটি মানুষের মধ্যে দ্বৈত সত্ত্বার পিছনে মুড সুইং এর অনেক বড় হাত রয়েছে।
রান্নায় তেল কম ব্যবহার করার উপায়
বেশি কিসমিস খেলে কি ক্ষতি হতে পারে?
চলুন জেনে নেওয়া যাক মুড সুইং কেন হয়-
আমাদের মস্তিষ্কে বিভিন্ন হরমোন আছে। তার মাঝে নিউরোট্রান্সমিটার থেকে হরমোন নিঃসরণ হয়ে থাকে। এর মাঝে সেরাটোনিন ও নরপাইনফ্রাইন হরমোন সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। সেরাটোনিন হরমোন মানসিক অবস্থা, ঘুমের ধরণ এবং আমাদের আবেগের সাথে জড়িত। নরপাইনফ্রাইন হরমোন স্মৃতিশক্তির সাথে সম্পর্কিত। এই হরমোন দক্ষতা এবং শারীরিক চাহিদা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
গরমে পেটের সমস্যা থেকে কিভাবে মুক্তি পাবে?
এসব হরমোন নিঃসরণের তারতম্যের কারণে মুড সুইং হয়ে থাকে। এছাড়াও মুড সুইং এর পিছনে নানা কারণ থাকে। যেমনঃ অবসাদ, মানসিক চাপ, মদ্যপান, দুশ্চিন্তা, ঘুমহীনতা ইত্যাদি। মুড সুইং এর ফলে অতিরিক্ত রাগ কিংবা নেতিবাচক কোন অনুভূতি আমাদের স্বাস্থ্য হানি ঘটায়। তাই এই সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে মনোবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
প্রেসার কুকারে রান্না করার সময় সতর্কতা এবং যেসব খাবার প্রেসার কুকারে রান্না করা উচিত নয়
কিভাবে এই মুড সুইং নিয়ন্ত্রণে আনা যায়-
আমাদের মানসিক অবস্থা আমাদের নিজেদের হাতে থাকে না। কিন্তু আমরা নিজেরা চাইলে আমাদের মানসিক অবস্থা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারি। তাই জন্য আমাদেরকে কিছু বিষয়ের প্রতি নজর দিতে হবে। যেমন-
১। প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা নিয়ম করে ঘুমাতে হবে।
২। সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলতে হবে।
৩। বেশি করে পানি পান করতে হবে। ডিহাইড্রেশনের ফলে মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তাই প্রতিদিন ৩-৪ লিটার পানি পান করা উচিত। পানি শূন্যতার লক্ষণ ও প্রতিরোধ
৪। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে এবং খেলাধুলা করতে হবে।
৫। বন্ধুদের সাথে প্রাণ খুলে গল্প করতে হবে।
৬। হাটুব্যথা, মাথা ব্যথা বা যেকোন ধরনের ব্যাথার ওষুধ খাওয়া যাবে না।
৭। রাত জেগে ফোন চালানো যাবে না।
৮। ধূমপান বা মদ্যপান করা যাবে না।
আরো পড়ুনঃ এক দিনে কত কাপ কফি খাওয়া স্বাস্থ্যকর?
One Comment