
বাঙ্গালিদের খাওয়া দাওয়া মানেই হচ্ছে বেশি বেশি তেল, ঝাল দিয়ে রান্না। তেল ঝাল কম হলে বাঙালিদের খাওয়া যেন জমেই না। বাঙালিদের সিদ্ধ খাবারেও তেল দিতে হয়। বাঙালিদের খুব বেশি প্রিয় একটা খাবার হচ্ছে ভাজাভুজি।
মূলত চিকিতসকদের কথা মতো প্রতিদিন মাত্র তিন থেকে চার চামচ তেল খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু বাঙালিদের মধ্যে তার কোন লক্ষণই প্রকাশ পায় না। ফলে শারীরিক সমস্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। পেটে গ্যাস, পেট ব্যথা, হজমে সমস্যা যেন লেগেই থাকছে। আর ওবেসিটির সমস্যা তো পিছু ছাড়েই না।
যাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য তেল একদম কম খাওয়া উচিত। কিন্তু এমন অনেকেই আছেন যারা রান্নায় তেল একদম কমাতে পারছেন না তাদের জন্য কিছু পদ্ধতি বা উপায় রয়েছে। যেমন-
১। রান্নায় আগে থেকে মশলা মাখিয়ে রাখতে হবে–
রান্না করার বেশ কিছু সময় আগে থেকেই মশলা মাখিয়ে রাখতে হবে। মাছ, মাংস, পনির যাই রান্না করুন না কেন আগে থেকেই মশলা মাখিয়ে রাখতে হবে। তাহলে রান্নার স্বাদ বৃদ্ধি পাবে পাশাপাশি তেল ও কম লাগবে। মশলা মাখানোর সময় দই ব্যবহার করা যেতে পারে। দই ব্যবহার করলে রান্নায় তেল কম লাগে।
২। ননস্টিকের কড়াই ব্যবহার করা-
ননস্টিকের কড়াইতে তেল খুব কম লাগে। এতে রান্না করার সময় খাবার তলায় লেগে যায় না। ফলে অল্প তেলেই ঢাকনা দিয়ে খুব সহজে রান্না করা যায়। এই খাবারের স্বাদ ও ভালো হয়। তাই প্রতিদিনের রান্নায় ননস্টিকের হাড়ি কড়াই ব্যবহার করা যেতে পারে। মাছ ভাজতে গেলেও ননস্টিকের পাত্রের গায়ে লেগে যায় না। অল্প তেলেই খুব ভালো রান্না করা যায়।
৩। বেক করা-
মাছ বা মুরগি যাই রান্না করতে চান না কেন বেক করতে পারেন। যারা ডায়েট করে তাদের খাবার বেক করে খাওয়াই উচিত। কষিয়ে ভালো মতো রান্না করতে চাইলে তেল অনেক বেশি লাগে। তাই তেলের ব্যবহার কমাতে মাছ, মাংস সবই বেক করে খেতে পারবেন। খুব সামান্য তেল দিয়ে বা মাখন দিয়ে খাবার বেক করে নিতে পারবেন।
৪। চামচ মেপে তেলের ব্যবহার-
রান্নায় খুব অতিরিক্ত তেল দিলেই যে রান্নার স্বাদ ভালো হবে এমনটা কিন্তু নয়। বোতল থেকে তেল নিয়ে আমরা সরাসরি ব্যবহার করি। কিন্তু এই অভ্যাসটা বাদ দিয়ে যদি আমরা চামচে করে মেপে তেল দিই রান্নায় তাহলে অনেক ভালো হয়। চামচে করে মেপে তেল দিলে রান্নায় বেশি তেল পড়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না। আর ডুবো তেলে না রান্না করে সামান্য তেলে রান্না করাই ভালো।
৫। ভাপে রান্না করা-
যেকোন সবজি রান্না করার পূর্বে সামান্য একটু ভাপিয়ে নিলে ভালো হয়। তাহলে রান্না করতেও কম সময় লাগে। পাশাপাশি তেল ও কম লাগে। আবার পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ণ থাকে। মাছ, ডিম, মাংস যাই রান্না করা হোক না কেন তার আগে সামান্য ভাপিয়ে নিলে ভালো হয়।
আরো পড়ুনঃ রান্নায় বেশি ঝাল হয়ে গেলে কিভাবে কমাবেন?