
সম্পূর্ণ বাড়ি ঘর গোছানো থাকে। সময় পেলে সবাই ঘর পরিষ্কার করে বা ঘর সাজায়। কিন্তু বাকি ঘরগুলোর সাথে বাথরুমের সাজগোজ ও খুব সুন্দর হওয়া উচিত। একটি নান্দনিক ঘরের সাথে একটি সুন্দর সাজানো গোছানো বাথরুম খুবই নজর কাড়ে। বাথরুমের মাধ্যমে একটা মানুষের রুচির পরিচয় ফুটে উঠে। কিন্তু মানুষ নিজের অজান্তেই এই জায়গাটি সাজানোর প্রতি তেমন গুরুত্ব দিতে চায় না। আজ আমরা শিখবো কিভাবে বাড়ির এই গুরুত্বপূর্ণ জায়গাটি সাজাতে হবে।
বাড়ির ডাইনিং, ড্রয়িং, বেডরুম, কিচেন সাজানোর মতো বাথরুম সাজানো ও খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বাথরুমের রং, টাইলস ও বেসিনের ধরণ রুচির পরিচয় বহন করে। কেউ কেউ নিজেই মাথা খাটিয়ে বাথরুম ডিজাইন করে আবার কেউ কেউ ইন্টেরিয়র ডিজাইনার দিয়েও বাথরুম ডিজাইন করে।
বাথরুম ডিজাইন করার সময় আমাদের যেসব বিষয়ের দিকে নজর রাখতে হবে-
১। বাথরুমের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস যেমন- বেসিন, কমোড ও শাওয়ার। এই তিনটি একই লাইনে রেখে খরচ কমানো যেতে পারে।
২। বাথরুমে উজ্জ্বল আলো লাগানো উচিত। তাহলে রুম দেখতে বড় লাগে।
৩। বাথরুমে বড় মাপের আয়না লাগানো উচিত। তাহলে বাথরুম আরো বড় লাগবে।
৪। বাথরুমে দরজার কাছাকাছি বেসিন রাখতে হবে যাতে ঢোকার ও বের হওয়ার সময় সহজেই কাজ করা যায়।
৫। বাথরুমে লাইট লাগানোর সময় সঠিক স্থানে লাইট লাগানো উচিত। আয়নার উপরে লাইট লাগালে চোখ, নাক ও গলায় ছায়া পড়ে।
৬। বেসিনের আকার, আয়তন ও রং এ নতুনত্ব আনতে হবে।
৭। আয়নার পাশে বা বেসিনের নিচে ক্যাবিনেট করা যেতে পারে। এতে বিভিন্ন প্রসাধনী রাখা যেতে পারে।
৮। দরজা থেকে খানিকটা দূরে টয়লেট ও শাওয়ার এরিয়া হতে হবে। কারণ দরজা দিয়ে ঢুকেই যেন কমোড চোখে না পড়ে।
৯। বাথরুমে একটি সুন্দর টাওয়েল রড লাগানো যেতে পারে।
১০। টয়লেট এরিয়ার উপরে গিজার লাগাতে পারেন।
১১। শাওয়ার এরিয়ার বাথরুম ফ্লোর গার্ড করে নিতে পারেন। তাহলে গোসলের পানি এই এরিয়ার বাইরে যেতে পারবে না।
১২। শাওয়ার এরিয়াতে সাবান, শ্যাম্পু রাখার জন্য একটি তাক করা উচিত।
১৩। শাওয়ার এরিয়াতে একটি শাওয়ার কার্টেন ও লাগাতে পারেন।
১৪। বাথরুম বড় হলে একটি বাথটাব লাগাতে পারেন।
১৫। ফ্লোর ও দেয়ালে অ্যান্টি-স্কিড টাইলস লাগাতে পারেন। তাহলে টাইলস পিচ্ছিল হবে না।
আরো পড়ূনঃ যেসব আসবাবে ঘরের জায়গা কমবে
One Comment