
এই রোজার মাসে ডায়াবেটিস রোগীদের তাদের নিজেদের ব্যাপারে অনেক বেশি সচেতন থাকতে হয়। রোজায় খাওয়া দাওয়ার অনিয়মের ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের সুগ্যার লেভেল অনেক সময়ই ওঠা নামা করে। কিন্তু ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করলে এই সুগ্যার লেভেল ঠিক থাকে। সুগ্যার লেভেল কমে গেলে রোগী খুব বেশি ঘামতে থাকে, তার শরীরে ঠান্ডা লাগে, খিদে পায় ঘন ঘন, হৃতস্পন্দন বেড়ে যায়। আবার অন্যদিকে সুগ্যার লেভেল বেড়ে গেলে রোগীর ঠোট শুষ্ক হয়ে যায়, ঘন ঘন প্রসাব পেতে থাকে। রোজায় খুব ভালো মতো প্রোটিন, ভিটামিন, ফাইবার গ্রহণ করলে এসব শারীরিক জটিলতা আর হবে না।
আরো পড়ুনঃ লিভার সিরোসিসের খাদ্যব্যবস্থা জেনে নিন
ডায়াবেটিস রোগীরা কিভাবে ইফতার করবেনঃযেকোন মানুষই খেজুর দিয়ে রোজা ভাঙ্গতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খেজুর তো অন্যতম উৎকৃষ্ট খাবার। খেজুরে খনিজ লবণ, ফাইবার, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। পটাশিয়াম আমাদের শরীরের ক্লান্তি দূর করে। ইফতারে ডায়াবেটিস রোগীকে ফ্রুট সালাদ দেওয়া যেতে পারে। তবে ক্রিম, চিনি এবং দুধ ছাড়াই দিতে হবে। সামান্য পরিমাণে লেবুর রস দেওয়া যেতে পারে। এতে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। তেল, মরিচের গুড়া ও চিনিযুক্ত খাবার রোগীকে দেওয়া যাবে না।
আরো পড়ুনঃ জ্বর হলে করণীয়

ডায়াবেটিস রোগীরা সেহেরিতে কি করবেনঃ ডায়াবেটিস রোগীদের সেহেরিতে যেসব খাবার দিতে হবে সেগুলো যেন বেশ অনেক সময় পর্যন্ত হজম না হয়। তাই তাদেরকে রূটি বা পরোটা দেওয়া যেতে পারে। তবে পরোটা দিলে খুব কম তেলযুক্ত পরোটা দিতে হবে। এছাড়া হালিম ও দেরিতে হজম হয়। তাই হালিম ও দেওয়া যেতে পারে। এছাড়া যেহেতু হালিম অনেক ডাল দিয়ে বানানো হয় তাই এতে প্রচুর ফাইবার থাকে। ফলে এটা অনেকসময় পেটে থাকে। এছাড়া সেহেরিতে লখুব কম তেল মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত সবসময়। সেহেরিতে কোন ধরনের ফল বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়।
আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিসের চিকিৎসা সম্বন্ধে জেনে নিন
ডায়াবেটিস রোগীরা রোজার সময় প্রচুর পরিমাণে ফল, শাকসবজি, দই, ডাল গ্রহণ করতে পারেন। এসব খাবারে প্রচুর পরিয়ামণে ফাইবার, খনিজ লবণ, ভিটামিন পাওয়া যায়। এছাড়া এসময় পানিশূণ্যতা দূর করতে সুগ্যার ফ্রি যেকোন ড্রিংক বা প্রচুর পানি পান করা যেতে পারে। যেহেতু এসময় ১৪/১৫ ঘণ্টা রোজা থাকে তাই শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়। এছাড়া রক্তচাপের উপর একটা প্রভাব পড়ে। তাই রোজার সময়ে ডায়াবেটিস রোগীদের সবসময় সর্তক থাকতে হয়। বার বার সুগ্যার চেক করতে হয়।
আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিসের কারণ, লক্ষণ ও পরীক্ষা