
অনেকেই দেখা যায় শরীরের যেকোন অংশে ব্যথা দেখা দিলেই ব্যথানাশক ওষুধ খেতে থাকে। কিন্তু বেশি পরিমাণে ব্যথানাশক ওষুধ খেলে শরীরের ক্ষতি দেখা দিতে পারে। এটা শরীরের জন্য মোটেও ভালো না। কিছু খাবার আছে যেগুলো মাথা ব্যথা থেকে পিরিয়ড ক্র্যাম্প, দাঁতের ব্যথা, পেটের গ্যাস যেকোন ধরনের ব্যাথাতেই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। খাবারগুলো হচ্ছেঃ
১। আদাঃ
আদা একটি প্রাকৃতিক ব্যাথানাশক উপাদান। আদা প্রাকৃতিকভাবে পেশি প্রশমিত করতে সাহায্য করে। আদা যেকোন ধরনের আঘাত প্রতিরোধে সাহায্য করে। আদা গুরুতর পিরিয়ড ক্র্যাম্প থেকে রক্ষা করে। আদাতে স্যালিসিলেট নামক উপাদান থাকে। এটা স্যালিসাইলিক এসিডে রূপান্তরিত হয়ে ব্যথা ও অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে। ব্যথার সময়ে আদা চা খেলে ব্যথা প্রশমিত হয়ে যায়।
২। আনারসঃ
আনারসে ব্রোমেলাইন নামক উপাদান থাকে। এটি পেটের সমস্যা, ফোলাভাব দূর করে। আনারস দাঁতের ব্যথাও উপশম করতে সাহায্য করে। এই প্রাকৃতিক রাসায়নিক উপাদান ওজন ও প্রদান দূর করতে ভূমিকা রাখে।
৩। হলুদঃ
হলুদে প্রদাহ বিরোধী উপাদান থাকে। হলুদের অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য ভিতরের বিভিন্ন ব্যথা নিরাময়ে সাহায্য করে। হলুদ ক্ষত নিরাময়ে খুব ভালো ভূমিকা রাখে। হলুদে থাকা কারকিউমিন নামক উপাদান বাহ্যিক ফোলাভাব দূর করে এবং ভিতরের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।
৪। ব্লুবেরীঃ
ব্লুবেরী খুব সুস্বাদু একটি খাবার। পাশাপাশি এতে ব্যথা নাশকারী বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। ছোট ছোট বেরীতে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট নামক উপাদান থাকে যা প্রদান দূর করতে সাহায্য করে। বেরী পেশী শিথিল করতে সাহায্য করে। নিয়মিত বেরী খেলে মূত্রাশয় ও মূত্রনালীর সংক্রমণ কমে যায়।
৫। লবঙ্গঃ
মাড়ি ও দাঁতের যেকোন ধরনের ব্যথা উপশমে লবঙ্গ খুব ভালো কাজ করে। দাতে ব্যথা হলে একটিমাত্র লবঙ্গ নিয়ে যে দাতে ব্যথা হয়েছে সেই দাঁতের নিচে রাখলে খুব উপকার পাওয়া যায়।
৬। চেরীঃ
চেরীতে অ্যান্থোসায়ানিন নামক উপাদান থাকে। এটি খুব সক্রিয় একটি যৌগ। অল্প সময়ের মাঝে ব্যথা থেকে উপশম দিতে চেরী খুব ভালো কাজ করে। তাই ২০-২৫ টি চেরী খেলে মাথা ব্যথা, জয়েন্টের ব্যথা দূর হয়ে যায়। ভালো করে ধুয়ে চেরী কাঁচা খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ গরমে হঠাত অসুস্থ হয়ে পড়লে কি করণীয়
One Comment