
শিশুকে স্তন্যদান করাতে হলে মায়েদের মনে নানা দ্বিধা দ্বন্ধ কাজ করে। স্তন্যদান করানো নিয়ে অনেক ভুল ধারণা কাজ করে। আবার স্তন্যদান করানোর ভুলে শিশু ও পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না। তাই সন্তানকে স্তন্যদান করানোর ব্যাপারে মায়েদেরকে সর্তক হতে হয়।
১। সব মা-ই কি স্তন্যদান করাতে পারে-
সব মা-ই স্তন্যদান করাতে পারবেন। তবে স্তনের কোন অসুখ হলে সেই সময় সন্তানকে দুধ খাওয়ানো বন্ধ করতে হবে। বিশেষ করে মায়ের স্তনে কোন প্রদাহ বা জটিল কোন রোগ হলে শিশুকে দুধ খাওয়ানো যাবে না।
শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি করবেন?
২। কখন থেকে স্তন্যদান করানো শুরু করা যাবে–
শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর এক থেকে দুই ঘন্টার মাঝে মায়ের বুকে দুধ চলে আসে। যদিও এসময় মায়ের বুকে খুব কম দুধ থাকে। কিন্তু মায়ের বুকের এই শাল দুধ শিশুর জন্য খুবই উপকারী হয়ে থাকে। শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরে শিশুর খুব কম দুধের প্রয়োজন হয়। এসময় তাদের শরীরে পানির পরিমাণ তূলনামূলকভাবে বেশি থাকে। মায়ের বুকে নিয়মিত দুধ আসতে তি থেকে পাঁচ দিন সময় লাগে।
শাল দুধ যেকোন ধরনের সংক্রামক ব্যধি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ডায়রিয়া জীবাণু প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। অনেকেই শাল দুধ ফেলে দিয়ে থাকে। এটির পরিবর্তে মধু বা গ্লুকোজের পানি খাইয়ে থাকে। শিশুকে পাঁচ মাস বয়স পর্যন্ত অন্য কোন খাবার দেওয়া একবারেই ঠিক নয়।
শিশুদের সংক্রমণ রোধ করতে যেসব খাবার কাজ করে
৩। কিভাবে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে-
সন্তান প্রসবের পরে মা কিছুদিন অনেক ব্যথার কারণে ভালো মতো উঠেও বসতে পারে না। সেজন্য মা শিশুকে শুয়ে শুয়ে স্তন্য প্রদান করে থাকে। তখন মা বাচ্চাকে মায়ের পাশে শুইয়ে দিবেন। বালিশ দিয়ে মা বাচ্চাকে সাপোর্ট দিবেন। স্তনের বোটা বাচ্চার চিবুক স্পর্শ করলে মুখ খুলে যায়। বাচ্চা তখন নিজে থেকেই টেনে দুধ খেতে পারে।
৪। কতবার দুধ খাওয়ানো উচিত-
কতবার শিশুকে দুধ খাওয়ানো যাবে এর সঠিক কোন সংখ্যা নেই। শিশুর প্রয়োজন অনুযায়ী শিশুকে দুধ খাওয়ানো উচিত। ঘড়ির কাটার হিসাব অনুযায়ী শিশুকে দুধ দেওয়া যাবে না। জন্মের কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত শিশুর ঘন ঘন ক্ষুধা লাগে। ক্ষুধা লাগলে শিশু কাদতে থাকে। তখন শিশুকে দুধ খাওয়াতে হয়।
৫। কত সময় ধরে দুধ খাওয়াতে হবে-
বাচ্চার চাহিদার উপর নির্ভর করে বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে হয়। সাধারণত এক স্তন থেকে ৫-১০ মিনিট দুধ এলে শিশুর পেট ভরে যায়। যেকোন একটি স্তন থেকে দুধ না দিয়ে দুইটি স্তন থেকেই দুধ দেওয়া উচিত। প্রথমে ডান স্তন থেকে দুধ দিয়ে তারপরে বাম স্তন থেকে দুধ দিতে হবে। শিশুদের খাওয়ানোর নিয়ম
যেসব বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিত-
অনেক সময় দেখা যায় মায়েদের স্তনে অনেক দুধ থাকে তখন শিশুর নাকে অনেক চাপ লাগে। শিশুর শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। তাই মাকে স্তন শিশুর নাকের সামনে থেকে আলতো করে নিজের দিকে চেপে রাখতে হবে যাতে শিশু ভালো করে শ্বাস নিতে পারে।
শিশুকে দুধ পান করানোর সময়ে কোন দুশ্চিন্তা না করে সঠিক নিয়ম মেনে দুধ পান করানো উচিত।
আরো পড়ুনঃ শিশুদের মাড়ি ও দাঁতের যত্নে যেসব খাবার খাওয়া যাবে?
2 Comments