সকালের নাস্তায় কি খাবেন আর কি খাবেন না?
সকালের নাস্তায় কি খাবেন ?

একটি দিনের সূচনা হয় সকাল থেকেই। তাই সকালের নাস্তাটা একটু হেলদি হওয়া চায়। অনেকে মনে করে সকালে না খেলে ওজন কম থাকবে। কিন্তু এটা একদম ভুল কথা। কারণ রাতে ঘুমের পরে পেট খালি হয়ে যায়। আর সকালে শরীরের বিপাকক্রিয়ার হার বেশি থাকে। ফলে সকালে যা খাওয়া হয় সবই হজম হয়ে যায়। সকালের নাস্তা আমাদের শরীর গঠনের জন্য খুব কাজ করে।
মাঝে মাঝে সকালে উলটা পালটা খাওয়ার ফলে পেটে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই সকালের খাবারের ব্যাপারে বেশ সচেতন হতে হয়। নাহলে কিছু বিপদ ঘটে যেতে পারে।
সকালের প্রথম খাবারে একটু কম পরিমাণ শর্করা গ্রহণ করা উচিত। বেশি শর্করা না গ্রহণ করাই ভালো। তাই ভাতের বদলে আটার রুটি খাওয়া যেতে পারে। কারণ রুটি থেকে যে গ্লাইকোজেন পাওয়া যায় তা ভাতের থেকে তাড়াতাড়ি গলে যায়। রুটির সাথে টক দই, সবজি ও ডিম, চিকেন স্যুপ রাখা যেতে পারে।
জাংক ফুড যেমন সিঙ্গারা, সমুচা, পিজ্জা, নুডলস বা ফলের রস না খাওয়াই ভালো। দিনের শুরুতে কিছু হেলদি খাবার খাওয়াই ভালো। ঘরের খাবার দিয়ে দিন শুরু করা উচিত।

সকালের নাস্তা কখনো বাদ দেওয়া যাবে না। সকালের খাবার বাদ দিলে শরীরের প্রচুর ক্ষতি হয়। সকালের খাবারে প্রোটিন বেশি থাকলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব ভালো। সকালে অনেকের খুব বেশি খেতে ইচ্ছা করে না। কিন্তু এই অভ্যাস বদলানো উচিত। সকালে পেট ভরে খেলে শরীরের বিপাকের হার বৃদ্ধি পায়। শরীরে ভালো পুষ্টি পায়। সকালে পেট ভরে খেলেও ওজন বৃদ্ধির কোন সম্ভাবনা থাকে না। সকালে বেশি না খেলে দুপুরে ক্ষিদে পেয়ে যায়। তাহলে বেশি খাওয়ার প্রবণতা থাকে। একবারে বেশি খেলে শরীরের ক্ষতি হয় বেশি।
নাস্তায় কার্বোহাইড্রেট বেশি খাওয়া উচিত নয়। কেক, মাফিন এগুলো না খাওয়াই ভালো। সকালের নাস্তায় ডিম, দুধ, ফল খাওয়া ভালো।
সকালের নাস্তায় লুচি, পরোটা না খাওয়াই ভালো। ময়দায় ফাইবার কম থাকে তাই ফ্যাট জমার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সকালে তাই ময়দার তৈরী খাবার না খেয়ে দুধের সাথে ওটস বা মুসলি মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। তাহলে পেট ভরার পাশাপাশি পুষ্টিও বেশি পাওয়া যায়।
সকালের নাস্তায় চা, কফি খাওয়া উচিত নয়। কারণ সারারাত পেট খালি থাকার ফলে সকালে চা, কফি খেলে শরীরের ক্ষতি হয়। তাই এগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।
আরো পড়ুনঃ
নানা রোগে উপকারী হলুদ ও তুলসী পাতার জুস
One Comment