
সুস্থ ও সুন্দর থাকতে চাইলে প্রথমেই দরকার সঠিক একটি খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা। পাশাপাশি কিছু নির্দিষ্ট মেনে চলা উচিত। ভালোভাবে জীবন চালানোর জন্য সঠিকভাবে খাওয়া দাওয়া করা উচিত। এটা আপনার শরীরের উপর একটা সুন্দর প্রভাবে ফেলতে সাহায্য করে।
আপনি আপনার মনের শান্তির জন্য যদি যখন তখন ফ্রিজ খুলে মিষ্টি, চকলেট, আইসক্রিম খেতে থাকেন তাহলে এটি আপনার শরীরের উপর ও বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। আবার যদি আপনি নিজের ক্লান্তি কমাতে গিয়ে দূমপান করতে থাকেন তাহলে সেটিও শরীরের উপর খারাপ প্রভাব ফেলবে।
আমাদের শরীরের ডাইজেস্টিভ সিস্টেমের টক্সিন সহ্যক্ষমতার পরীক্ষা নিতে থাকলে শরীরের জরুরি অঙ্গগুলো তার কার্যক্ষমতা হারাতে থাকে। ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, হৃদরোগ , অস্টিওপোরেসিস এর সমস্যা বাড়তে থাকে। এসব সমস্যা যদি প্রাকৃতিকভাবে দূর করতে চান তাহলে যথেষ্ট সংযম ও ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে।
এখন দেখে নিই কি কি নিয়ম মেনে চললে জীবনে সুস্থ থাকা যাবে?
১। শরীর সুস্থ রাখতে হলে সারাদিনের খাবারে টাটকা শাকসবজি ও ফলমূল রাখতে হবে। ক্যানড ফুড ও ফ্রোজেন ফুডের পরিমাণ কমাতে হবে।
২। শরীরে জিংকের ঘাটতি রাখা যাবে না। জিংক যুক্ত খাবার হিসাবে সানফ্লাওয়ার সিড, সয়াবিন, সি ফুড, মাশরুম, তিল, গোটা ডাল, বাদাম, ফ্ল্যাক্সসিড, চেডার চিজ, দুধ এগুলো খেয়ে জিংকের চাহিদা মেটাতে পারেন।
৩। আমাদের লিভার ভালো রাখতে ও টক্সিন ফ্ল্যাশ আউট করতে হলে বিটের রস খেতে হবে। লিভার ব্লাড পিউরিফারায় হিসাবে কাজ করে। বিটের রস খেলে পেট পরিষ্কার থাকে।
৪। আমাদের কিডনি ভালো রাখতে চাইলে তরমুজের রস খাওয়া যেতে পারে। আবার বাধাকপি ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। সেলেরি খেলে ইউরিক এসিডের পরিমাণ কমে যাবে। আবার হজম শক্তি বাড়াতে চাইলে খেতে পারেন আনারস।
৫। ওজন যদি বেশি থাকে তাহলে ওজন কমাতে হবে।
৬। প্রতিদিন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যুক্ত খাদ্য খেতে হবে।
৭। খাদ্যাভ্যাসে একটা নির্দিষ্ট রুটিন গড়ে তুলতে হবে। বেশি রাতে খাবার খাওয়া যাবে না। সন্ধ্যা ৭ টার পর আর কোন ভারী খাবার খাওয়া যাবে না। তার আগেই রাতের খাবার খেয়ে নিতে হবে।
৮। অতিরিক্ত চিন্তা ভাবনা করা যাবে না। রিলাক্সড জীবন যাপন করতে হবে। তাহলে মনের উপর কোণ খারাপ প্রভাব পড়বে না।
আরো পড়ুনঃ খালি পেটে গ্রিন টি খাওয়া কতটা স্বাস্থ্যকর
এমন পানীয় যা আমাদের মেদ ঝরাতে সাহায্য করে
ভোজ্য তেল হিসেবে সয়াবিন নাকি সরিষা কোনটা খাবেন? আর কেনই বা খাবেন?
One Comment