
বিশ্ববাসীর মৃত্যুর অন্যতম কারণ হৃদরোগ। বর্তমানে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মানসিক উদ্বেগ, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ। আবার শরীরের হরমোন নিঃসরণের উঠা-নামার ফলেও হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকে। ভোরের সময়ে শরীরে সাইটোকিনিন নামক হরমোনের নিঃসরণ খুব বেশি পরিমাণে হয়। ফলে হৃদযন্ত্র দূর্বল থাকলে অ্যারিথমিয়া নামক অবস্থার সৃষ্টি হয়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুকি বাড়িয়ে দেয়।
অল্প বয়সে কেন হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে?
বর্তমান সময়ে নিজেদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে সচেতন না হলে একটি নির্দিষ্ট বয়সের পরে হৃদরোগের ঝুকি বেড়ে যায়। অর্থাৎ শরীরের প্রতি যত্ন না নিলে হৃদরোগের সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। তবে যেকোন বয়সেই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
যে পাচটি খাবারে হার্ট অ্যাটাকের ঝুকি কমাবে
গবেষকদের মতে, দিনের বেলায় শরীর অনেক বেশি সক্রিয় থাকে। সারা দিনে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে হয়। ফলে অনেক শক্তি ব্যয় হয়ে থাকে। রাত হওয়ার সাথে সাথে শরীর ভিতর থেকে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ফলে পরিশ্রমের জন্য শরীর আর প্রস্তুত থাকে না। ফলে ঘুম পেয়ে যায়। শরীর ভিতর থেকে তখন বিশ্রাম নেয়। তখন রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দনের হার সবথেকে বেশি থাকে। হৃদক্রিয়া ও জটিল হতে থাকে।
হৃদরোগের চিকিৎসকেরা বলেছেন ভোর ৪ টা থেকে ১০ টার মাঝে কার্ডিয়াক অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তখন অ্যাড্রিনালিন গ্রন্থি থেকে অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ হওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে করোনারি ধমনীতে প্রচুর চাপ পড়ে।
রক্তের উচ্চচাপ ও খাদ্যব্যবস্থা
সকালের রক্তে পিএআই-১ কোষগুলো অধিক সক্রিয় থাকে। ফলে রক্ত জমাট বেধে যায়। এটিও হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, নিয়মিত ধূমপান ও মদ্যপান হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ। এই ঝুকি এড়াতে ৭-৮ ঘণ্টা দৈনিক ঘুমের প্রয়োজন। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। বাইরের খাবার ও ফাস্ট ফুডঃ সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলতে হবে।
আরো পড়ুনঃ যেভাবে হার্ট ভালো রাখা যায়
2 Comments