
গরমে সবারই হাসফাস অবস্থা। এই গরমের সময়ে যেন বাইরে বের হওয়ায় দায় হয়ে পড়েছে। সামনে আরো বেশি গরম পড়ার কথা আছে। তীব্র এই রোদ ও গরমে মানুষের দেখা দিচ্ছে নানা ধরনের শারীরিক অসুস্থতা। এসবের মাঝে হিট স্ট্রোক অন্যতম।
আসুন জেনে নেওয়া যাক হিট স্ট্রোক কি?
শরীর নিজেকে নিজে শীতল রাখতে পারে। ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে তাপ বাইরে বের হয়ে যায়। কিন্তু শরীরে যখন ডিহাইড্রেশন দেখা যায় তখন শরীর নিজেকে ঠান্ডা রাখার জন্য যথেষ্ঠ পরিমাণে ঘাম উৎপন্ন করতে পারে না।ফলে দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে থাকে। কখনো কখনো আবার তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রীর উপরে উঠে যায়। এসময়েই মূলত হিটস্ট্রোক হয়ে থাকে।
হিট স্ট্রোকের লক্ষণঃ
১। মাথা ব্যথা
২। ক্লান্তিবোধ
৩। মাথা ঘোরা
৪। ঘাম না হওয়া ও ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া
৫। অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
৬। দ্রুত হৃদস্পন্দন হওয়া
৭। বমিভাব
৮। হ্যালুসিনেশন ইত্যাদি।
হিটস্ট্রোক এড়াতে কি ধরনের খাবার খাবেন?
১। ফ্লেভারড ওয়াটারঃ চিনি ও আর্টিফিশিয়াল সুইটনার ছাড়া পানিতে লেবু, শসা, মালটা বা স্ট্রবেরি স্লাইস করে কয়েক ঘণ্টা ঢেকে রাখতে হবে। খাওয়ার সময়ে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে।
২। পানিঃ সারাদিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। গরমের সময়ে পানির চাহিদা বেড়ে যায়। তাই ২০ মিনিটে অর্ধেক গ্লাস পানি পান করা উচিত।
৩। হারবালঃ তুলসী, পুদিনা ও ধনিয়া পাতা আমাদের শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
৪। সেলারি জুসঃ ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে টক্সিনের সাথে সাথে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ক্লোরাইড বের হয়ে যায়। সেলারি জুস খেলে ডিহাইড্রেশন ঠিক হয়ে যায়। এতে পটাশিয়াম ও সোডিয়াম থাকে। তাই প্রতিদিন সেলারি জুস খেলে শরীরের তাপ সহ্য ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৫। ঠান্ডা সবজি ও ফলমূলঃ শসা, বাধাকপি, সেলারী, রান্না করা বীট, শতমূলী, মটরশুটি, গাজর, ছোলা, ব্রোকলি, ফুলকপি, বেদানা, নাশপাতি, আম, আনারস, নারিকেল, অ্যাভোকাডো ইত্যাদি শাক সবজি ও ফলমূল খেতে হবে।
গরমে যা খাবেন নাঃ
ভাজা খাবার, প্রক্রিয়াজাত মাংস, অ্যালকোহল, উষ্ণ মশলা যেমনঃ গোলমরিচ, রসুন, লবঙ্গ, আদা, দারুচনি, জায়ফল, ক্যাফেইন খাওয়া উচিত নয়।
আরো পড়ুনঃ
শরীরের ব্যথা দূর করে যেসব খাবার
শিশুদের মাড়ি ও দাঁতের যত্নে যেসব খাবার খাওয়া যাবে?
2 Comments